পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেই, কুঞ্জীতা নেই। এত নিবিড় লোকের ভিড়, কোথাও একটুও কলহের আভাস মাত্র দেখা গেল না। জনতার মধ্যে মেয়েদের সমাবেশ খুবই বেশি, তাতে একটুও আপদের স্থষ্টি হয় নি। বহুলোকের মিলন যেখানে গ্লানিহীন সৌন্দর্য্যে বিকশিত, যথার্থ সভ্যতার লক্ষ্মীকে সেইখানেই তো আসীন দেখি ; তিনি রেলগাড়িতে চড়ে বেড়ান না, টেলিগ্রামের ডাণ্ডাটার উপরে দাড়িয়ে থাকেন না। সুন্দরের সঙ্গে কল্যাণ যেখানে এক, সেইখানেই তিনি। যেখানে বিরোধ ঠেকাবার জন্তে পুলিসবিভাগের লাল পাগড়ি সেখানে নয়, যেখানে অন্তরের আনন্দে মানুষের মিলন কেবল যে নিরাময় নিরাপদ তা নয়, আপনা-আপনি ভিতরের থেকে সৌন্দর্য্যে ঐশ্বৰ্য্যে পরিপূর্ণ,— সেইখানেই সভ্যতার উৎকর্ষ । এই জিনিষটিকে এমনিই সুসম্পূর্ণভাবে ইচ্ছা করি নিজের দেশে। কিন্তু এই ছোটো দ্বীপের রাস্তার ধারে যে ব্যাপারটিকে দেখা গেল সে কি সহজ কথা ! কত কালের সাধনায় ভিতরের কত গ্রন্থিমোচন করে তবে এইটুকু জিনিষ সহজ হয়। জড়ো হওয়া শক্ত নয়, এক হওয়াই শক্ত, সেই ঐক্যকে সকলের সৃষ্টিশক্তি দ্বারা, ত্যাগের দ্বারা, সুন্দর করে তোলা কতই শক্তিসাধ্য। আমরা যেখানেই যে কোনো কাজেই কয়েকজন মিলতে চেষ্টা করেচি সেখানে কত ঔদাসীন্য, কত অহমিকা, কত বিরোধ ভেতর থেকে নানা মূৰ্ত্তিতে বেরিয়ে পড়তে থাকে। এইসব গ্লানি দূর করবার জন্যে আমাদের মিলিত কাজকে সকলে এক হয়ে উৎসবের রূপ দেওয়া আবশ্যক। আনন্দকে সুন্দরকে Wo A