পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা মূৰ্ত্তিতে নানা উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা চাই। সেই প্রকাশে সকলেই আপন আপন ইচ্ছার আপন আপন শক্তির যোগদান করতে থাকলে তবেই আমাদের ভিতরকার খোচাগুলো ক্রমে ক্রমে ক্ষয় হয়ে যায়,— ঝরনার জল ক্রমাগত বইতে থাকলে তলার মুড়িগুলি যেমন মুডোল হয়ে আসে। আমাদের অনেক তপস্বী মনে করেন, সাধনায় জ্ঞান ও কৰ্ম্মই যথেষ্ট । কিন্তু বিধাতার রচনায় তিনি দেখিয়েচেন শুধু স্বাভাবিকী জ্ঞানবলক্রিয়া নয়, রসেই স্থষ্টির চরম সম্পূর্ণতা। মরুর মধ্যে যা কিছু শক্তি সমস্তই বিরোধের শক্তি, বিনাশের শক্তি। রস যখন সেখানে আসে তখনি প্রাণ আসে, তখন সব শক্তি সেই রসের টানে ফুল ফোটায়, ফল ধরায়, সৌন্দর্য্যে কল্যাণে সে উৎসবের রূপ ধারণ করে। বেলা আটটা বাজ ল। বারান্দার সামনে গোটা দুই তিন মোটরগাড়ি জমা হয়েচে । সুরেনে সুনীতিতে মিলে নানা আয়তনের বাক্সে ব্যাগে ঝুলিতে থলিতে গাড়ি বোঝাই করচেন। র্তারা একদল আগে থাকতেই খেয়াঘাটের দিকে রওনা হবার অভিমুখী। নিকটের পাহাড়ের ঘনসবুজ অরণ্যের পরে রৌদ্র পড়েচে, দূরের পাহাড় নীলাভ বাম্পে আবৃত। দক্ষিণ শৈলতটের সমুদ্রখণ্ডটি নিঃশ্বাসের ভাপ লাগা আয়নার মতো স্নান। ঐ কাছেই গিরিবক্ষ-সংলগ্ন পল্লীটির বনবেষ্টনের মধ্যে সুপুরি গাছের শাখাগুলি শীতের বাতাসে তুলচে। ঝরনা থেকে মেয়েরা জলপাত্রে জল বয়ে আনচে । নীচে উপত্যকায় শস্তক্ষেত্রের ওপারে সামনের পাহাড়ের গায়ে ঘন গাছের VR