পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ু বেড়েচে । চণ্ডীমণ্ডপে মন্দগমনে যার দিন চলে তার বয়স থেকে অনেকটা বাদ দিলে তবে তার যথার্থ আয়ু পাওয়া যায়। আমি বলিনে যে বাইরের পরিবর্তন পরম্পরার মধ্যে ছুটে চললেই আয়ু সেই অনুসারে কালকে ব্যাপ্ত করে। শাস্ত্রীমশায় কোণে বসে আছেন কিন্তু কালকে তিনি যেরকম ব্যাপকভাবে অধিকার করচেন অন্ত লোকের সঙ্গে নববই বছরের চেয়ে সে অনেক বেশি। মনে পড়ে এই তো সেদিন এলেন আশ্রমে “মিত্ৰগোষ্ঠী”র সম্পাদক পদ থেকে নেমে ৷ এসেই তার মন দৌড় দিল পালিশাস্ত্রের মহারণ্যের মধ্যে—দ্রুতবেগে পার হয়ে চলেছেন কোথায় তিববতী কোথায় চৈনিক— নাগাল পাবার জো নেই। সময়ের মাপ পঞ্জিকায় নয় চিত্তে । খাটি তুধের সঙ্গে জোলো দুধের ওজন মিলিয়ে মাপতে গেলে ঠক্‌তে হয়। সে যা হোক, যাচ্ছিলুম কুলের দিকে, হঠাৎ শ্বামের বঁাশি বাজল। আরিয়াম তারযোগে সেই বাশির ডাক পাঠিয়েচেন । কিন্তু আমার মনের ভাব একেবারেই রাধিকার সঙ্গে মিলচেন । স্বদেশে হয়তো জটিল কুটিলার অভাব নেই কিন্তু তবু সকল গঞ্জনা স্বীকার করেও সেইদিকেই হৃদয়টা ঝুকেছিল। এখন সজোরে তাকে নিয়ে হেঁচকা টান লাগাচ্চি কিন্তু সে আমার প্রতি প্রসন্ন হচ্চে না। আমি বলচি কৰ্ত্তব্য সৰ্ব্বাগ্রে, সে বলচে ওটা ধৰ্ত্তব্যের মধ্যেই নয়। তার মতে, বিধাতা কৰ্ত্তব্য স্বষ্টি করেচেন সে কেবল জীব সেটাকে লঙ্ঘন করে মুক্তির আনন্দ লাভ করবে বলেই । জাহাজে বসে একটা কবিতা লিখেচি। বউমাকে তার ৭২