পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেটিকে বিশ্লেষণ করে তোমরা অধ্যাপকেরা মিলে একটা কৰ্ত্তব্য তালিকা তৈরি কোরো। সেই তালিকার মধ্যে কোনগুলি অনুষ্ঠিত হচ্চে কোনগুলি অসম্পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্চে এবং কোনগুলি আদৌ অনুষ্ঠিত হচ্চে না তা নিয়তই তোমাদের চোখের সামনে থাকা চাই । অন্ত দেশের লোকের কাছে যখন শান্তিনিকেতনের কথা বলি তখন এই সব অাদর্শের কথা বলে থাকি, এবং তা শুনে তারা বিস্ময় বোধ করে— কিন্তু এগুলি যদি অধিকাংশই অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে আমার পক্ষে তার চেয়ে লজ্জার বিষয় কিছুই হতে পারেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি তোমাদের কাছ থেকে কিছুমাত্র নিষ্ঠা দাবী করি নি। খুব সম্ভব আমি তার অধিকারী নই। যদি অধিকারী হতুম তাহলে এতদিনে আশ্রমকে ঘিরে সহায়কারী লোকের অভাব হত না । আশ্রমের আদশের মধ্যে যে সত্য আছে আমি কেবল সেই সত্যের দোহাই দিয়েছি। যে কারণেই হোক আমাদের দেশে ব্যক্তিগত নিষ্ঠার প্রভাবই সব চেয়ে প্রবল— সেই নিষ্ঠার যোগেই আমাদের দেশে ত্যাগ সহজ হয়। এই ব্যক্তিস্বরূপের মহিমা নিয়ে যারা জন্মগ্রহণ করেন র্তারা ছাড়া আর কেউ যদি তাদের মুখোষ পরে আড়ম্বর করেন তাহলে সেটা একটা গুরুতর অপরাধ হয়ে ওঠে । অতএব ও পথ আমার নয়। সেইজন্তেই তোমাদের কাছে নির্দিষ্ট কাজের চেয়ে বেশি কিছু দাবী করতে আমি কুষ্ঠিত হই । কাজের ক্ষেত্রে সর্বদাই সেই বেশিটুকুর দরকার হয়। সেই বেশিটুকু দেওয়া সহজসাধ্য, এমন কি, আনন্দময় হতে পারত, যদি br@