পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》 》br চিঠিপত্র পঞ্চবটির কাছাকাছি বর্ষার সময় বড় বড় গাছের বীজ বেশি করে যেখানে সেখানে পুতে দিস। তার কিছু হবে কিছু মরবে। ভবিষ্যতে একদিন ঐ উত্তর পশ্চিম কোণে একটা বন হয়ে ওঠে এই আমার ইচ্ছা । আমার কোণার্ক, বাড়ির সেই নীলমণি লতার বিপরীত দিক যে শ্বেতমণি লতাটা বেড়ে উঠে আশ্রয় খুজচে তার জন্তে জড়িয়ে ওঠবার একটা ভালো ব্যবস্থা করে দিতে বলে দিস্—আর মধুমালতীর উদ্ধগতির জন্যে যে তিন তাল খাড়া হয়েছে তার তিনটে ঢালু চালের বাখারির জাফরি করে না দিলে তার উপর দিয়ে লতা উঠতে পারবে ন। সুরেনকে ডেকে এ সম্বন্ধে পরামর্শ করিস । সন্তোষ কি আশ্রমে আছে ন পালিয়েঢ়ে ? তাকে একটা লম্বা চিঠি লিখে দিলুম। বুড়ির বন্ধুবান্ধবের সব চলে গিয়ে বোধ হয় একলা ঠেকচে । ওখানে খুব কি গরম পড়েচে । আমার মনে হচ্চে এবার সমস্ত গমি ভোর মাঝে মাঝে বৃষ্টি পাবি– তেমনি বেশি গরম হবে না। সমুদ্রেও আমরা দুদিন বৃষ্টি পেয়েচি । রীতিমত গরম বটে কিন্তু দিনরাত হু হু করে হাওয়া দিচ্চে– বিশেষত আমার ক্যাবিনটা একেবারে জাহাজের সামনেই বলে কখনো হাওয়ার অভাব হয় না । মরিসের কি অবস্থা ? এই অবকাশে সে যদি বাইসকল চড়তে ভালো করে শিখে নেয় তাহলে অনেক কাজে লাগবে । সে আমার বাক্স বোঝাই করে একরাশ আমার সেই ফিলজফিকাল কনগ্রেসের বক্তৃতার চটি ঠেসে দিয়েচে—