পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{છર জেনিভ। ] কল্যাণীয়াস্তু মীরু তোর চিঠি থেকে শান্তিনিকেতনের পাশ্চাত্য পাড়ার খবর কিছু কিছু পাওয়া গেল। ঐ পাড়ার উপর বিশ্বভারতীর বাট বোলাবার প্রস্তাব করে পাঠাতে হবে। কেননা এখন থেকে এখানকার অনেক ছেলে মেয়ে ওখানে প্রতি বৎসর যাবে তার ব্যবস্থা হচ্ছে অতএব আবর্জনা যদি না এখনি সরানো যায় তাহলে ওদের সংসর্গে যুরোপের সম্বন্ধ বিষাক্ত হয়ে উঠবে। ঘুরতে ঘুরতে এসেছি জেনিভাতে। এখানে এসে প্রথম রৌদ্রের সাক্ষাৎ পাওয়া গেল। মনে হচ্ছে যেন জাহাজ ভাড়া করে সমুদ্র পার হয়ে এখানে এসে পৌচেছে। আমাদের দেশের রোদুর, অম্ৰাণ মাসের দুপুর বেলার মত— আকাশ নিৰ্ম্মল নীল, গওয়াতে গরমের অল্প একটু ছোয়াচ লেগেছে, গাছের পাতাগুলো ঝিলমিল করে উঠছে। আমার জানালার ঠিক সামনে একটা বঁাশ বন আছে। বলরামের গদা তৈরী করবার বশি নয়, শ্ৰীকৃষ্ণের বাঁশি বাজাবার বঁাশ, সরু লম্বা চিকন শ্যামল, যাকে বলে মুরলী বঁাশ, এখানে এনেটে জাপান থেকে। ঐ বনের দিকে চোখ ফিরিয়ে হঠাৎ ভুলে যাই য়ুরোপে আছি। বনমালীর দেশ বলে ভুল হয়।