পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ৬৩] দাৰ্জিলিং ] কল্যাণীয়াস্ত মীরু, তোর চিঠি পেলুম। বৃষ্টি তে নামল কিন্তু মাটিতে এতদিন যে তাপ সঞ্চিত ছিল তা বোধহয় ভাপ হয়ে উঠচে। মাটির তাপ মলে তবে আরাম পাবি। রৌদ্রের অত্যাচারে ধরণী অনেকদিন আকাশের পরে অভিমান করে থাকে—প্রসাদবারি বর্ষণের পরে প্রথমটা তার উদ্ম আরো বেড়ে ওঠে ঠাণ্ড হতে সময় লাগে। এদিকে রানী মহলানবিশ তার স্বামীটিকে সঙ্গে নিয়ে বিনা নোটিশে হঠাৎ আবিভূত। কলকাতায় যতদিন গরম অসহ ছিল ততদিন নড়বার কথা মনে উদয় হল না—যখন সেখানে ঠাণ্ডার আয়োজন জমে এল তখন তার এখানে উত্তীর্ণ। বেশিদিন থাকবে না। আমরা ঠিক করেছি জুলাইয়ের পয়লা কিম্বা তারি কাছাকাঠি নীচে নামৰ । ততদিনে ধরণীতল প্রসন্ন হবে। পুপু এখন ভালো আছে। আমার টেবিলের উপর কাগজপত্র দোয়াত কলম যতই আমি এলোমেলো করি, সে এসে গুছিয়ে দেয় । বেীমাও ভালো আছেন—রথীর শরীরও ভালো। আমার শরীরটাও ভালো আছে মানতে হবে । কিন্তু দুঃসহ গরমে আমার কঙ্কর কুঞ্জ কঙ্কালসার হোলে কিনা সেই কথাটা ভাবি। এবার বর্ষায় সেঁউতি ফুলের খবর নিস্তো। হৈমন্তীর মেয়ের