পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ১২ আগামী শরৎকাল পর্য্যস্ত হয় ত এই ব্যাপার নিয়ে আমাকে লেগে থাকতে হবে । তারপরে সম্ভবত শীতের আরম্ভে আমি দেশে ফিরে যাবার আয়োজন করব। আমার খুব ইচ্ছা ছিল জাপান চীন জাভা ব্রহ্মদেশের পথ দিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ভারতবর্ষে ফিরব— • • • আবার [?] যে কোনোদিন এ পথে আসতে পারব এমন আশা করিনে । কিন্তু এ যাত্রায় সে আর ঘটে উঠল না। যদি কোনোমতে সময়ের ও অর্থ-সামর্থ্যের সুবিধা করতে পারি তাহলে সাইবীরিয়ান রেলপথ দিয়ে জাপানে গিয়ে সেখান থেকে ভারতবর্ষে যাব এই রকম সংকল্প মাঝে মাঝে মনের মধ্যে উদয় হচেচ– কিন্তু এটাকে বেশ সম্ভবপর বলে ঠেকচে না অথচ প্রস্তাবটা আমার কাছে খুব লোভনীয় বোধ হচ্চে— যদি ঘটে ওঠে ত ভালই, যদি না ঘটে ত কল্পনা । করতে আরাম অাছে । এ পর্য্যন্ত এখানে শীত খুব প্রবল হয় নি— বরাবর সূৰ্য্যালোক ভোগ করে এসেছি । মার্চ মাস পড়েছে – এখন বসন্তের অভু্যদয় হবার সময় এল— কিন্তু বিদায়ের সময় শীত আপনার তৃণ নিঃশেষ করে শেষ ব্রহ্মাস্ত্র বর্ষণ করে যাবে এই রকম । ভাবখানা দেখতে পাচ্চি । গত তিন চার দিন থেকে খুব ঠাণ্ড পড়েছে-– প্রায় ক্রমাগতই বরফ পড়চে, আর কনকনে বাতাস দিচ্চে। এমেরিকার সুবিধা এই যে বরফ পড়,ক আর শীতই হোক, সূৰ্য্যালোকের অভাব হয় না— সেইজন্যে শীতটা এখানে কাটিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে খুব আরামের হয়েছে। গত ૨