পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র 8 సె আমাদের আনন্দ সমস্ত মানুষটকে নিয়ে নয়, নিজের কোণটুকুকে নিয়ে—আমাদের যা কিছু অর্থ এবং সামর্থ্য সমস্তই আমরা নিজের উপর খরচ করি— কৃপণতার অন্ত নেই। কিন্তু এ কথাটা বুঝিনে যে আমরা যেখানে নিজে একল সেখানে আমরা ফুটে৷ কলস, যা আমরা কেবল নিজের উপরে ঢালি তা সমস্তই নিকেশ হয়ে যায়। কবে আমরা সকলের হয়ে চিন্তা করতে এবং সকলের হয়ে বেদন বোধ করতে পারব ? কলে আমাদের শক্তি— সকলের যোগে সার্থক হয়ে উঠবে ? আমাদের দীনতা কৃপণতার অন্ত নেই য়ে— সেই দীনতার ভারেই আমাদের দেশ ডুবেচে নইলে আমাদের মধ্যে যে শক্তি তাছে তা কম নয়— সে শক্তির মহত্ত্ব বিদেশে আসলে আমরা বেশি করে বুঝতে পারি। কিন্তু যে ঔদার্ঘ্য ঘে মহদাশয়তা থাকলে সেই শক্তি চিরন্তন হতে পারে, সর্ববদেশে ও নিত্যকালে সফল হয়ে উঠতে পারে আমাদের সেই তেজ, সেই আত্মোৎসর্জন নেই । আশা করেছিলুম বিচিত্রা থেকে আমাদের দেশে চিত্রকলার একটা ধারা প্রবাহিত হয়ে সমস্ত দেশের চিন্তকে তাভিষিক্ত করবে কিন্তু এর জন্যে কেউ যে নিজেকে সত্যভাবে নিবেদন করতে পারলেন । আমার যেটুকু সাধ্য ছিল আমি ত করতে প্রস্তুত হলুম কিন্তু কোথাও ত প্রাণ জাগল না। চিত্রবিদ্যা ত আমার বিদ্যা নয়, যদি তা হত তাহলে একবার দেখাতুম আমি কি করতে পারতুম। যা হোক আর কোনো সময়ে আর কেউ উঠবে— এবং দেশের মধ্যে চিত্রকলার যে শক্তি বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত হয়ে রয়েচে তাকে