পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\b ২৮ নভেম্বর ১৯২৭ কল্যাণীয়েষ্ণু «Υ-. চারু, সময় অল্প, সংক্ষেপে প্রশ্নের উত্তর দেব। যে মানুষ ন চায় তাকে কেউ কিছু দিতে পারেন, দিলে দান বিফল হয় । চাওয়া এবং দেওয়া একটা চক্র, পরস্পরের যোগে পরস্পর সম্পূর্ণ। তুমি তোমার ছাত্রের কল্যাণার্থী, একান্ত মনেই চাও যে তার শিক্ষা সার্থক হয়, কিন্তু তোমার ইচ্ছার পথ বন্ধ, সে যদি না চায় । আমাদের দেশে গুরুভক্তির অর্থই তাই । গুরুর নিজের জন্যে ভক্তির প্রয়োজন নেই, কিন্তু তার দানক্রিয়ার জন্তে তার প্রয়োজন আছে,— ভক্তির দ্বারা গুরুর কাছে ছাত্র আপন দাবীকে সত্য করে— তখন গুরুর কল্যাণ ইচ্ছার বাধা দূর হয়। পাওয়ার জন্যেই পাওয়ার বাধার মূল্য আছে। বাধা দূর করতে গিয়ে পাওয়ার শক্তি সচেষ্ট হয়ে ওঠে। তীর্থে পৌছনোর সার্থকতা তীর্থে যাত্রার কৃচ্ছ্বতার দ্বারাই পরিপূর্ণ। দেবতাকে না পাওয়াটাই দেবতাকে পাওয়ার ভূমিকা, মাঝে থাকে প্রার্থনা । যেটাকে পেয়েই আছি সেটাকে আমরা সব চেয়ে কম পাই। এই জন্যে ভগবান যদিচ নিজেকে দিয়েই রেখেচেন—তবু চেয়ে পাওয়ার তুঃখের ভিতর দিয়ে পাওয়ার আনন্দকে প্রগাঢ় করতে হবে । বস্তুত তাকে না পাওয়াটা মায়া, ঐটে লীলা— যিনি আছেন তিনি নেই হয়ে খেলা করেন, যিনি দিয়েচেন তিনি দেন নি বলে ফাকি দেন । বাহ বিষয়েও > 0 ≤