মৃত্যুর ছদ্মবেশে সেও সেই প্রাণলক্ষ্মী, পরজীবনে সে যখন কালো ঘোমটা খুলবে তখন দেখতে পাব চির পরিচিত মুখশ্ৰী। কোনো পৌরাণিক পরলোকের কথা বলচি নে সে কথা বলা বাহুল্য এবং কাব্যরসিকদের কাছে এ কথা বলার প্রয়োজন নেই যে বিবাহের অনুষ্ঠানটা রূপক । পরলোকে আমাদের প্রাণসঙ্গিনীর সঙ্গে ঠিক এই রকম মন্ত্র পড়ে মিলন ঘটবে সে আশা নেই । . আসল কথা পুরাতনের সঙ্গে মিলন হবে নুতন আনন্দে । ৩। ধরণীর ধূলায় তো আজও আছি তবু নিশীথ আকাশের দিকে যখন তাকাই তখন মনে যে আনন্দ পাই সেই আনন্দের সম্বন্ধটা কি অস্বীকার করতে হবে । নক্ষত্রের সঙ্গে এই আনন্দের পরিচয় আমাদের নেই না কি । অন্তত আমার তো আছে । আমি কখনো কখনো রাত তুটোর সময় বিছানী ছেড়ে বাইরে দাড়িয়েছি সে কেবল ঐ আকাশভরা নক্ষত্রের ডাকে— সেই কথাটাকেই কাব্যে বলেছি— লক্ষ যোজন দূরের তারক মোর নাম যেন জানে সে । ৪ । উৰ্ব্বশী যে কী কোনো ইংরেজি তাত্ত্বিক শবদ দিয়ে তার সংজ্ঞা নির্দেশ করতে চাই নে, কাব্যের মধ্যেই তার অর্থ আছে । এক হিসাবে সৌন্দর্য্য মাত্রই এবৃস্ট্র্যাক্ট— সে তো বস্তু নয়— সে একটা প্রেরণা যা আমাদের অস্তরে রস সঞ্চার করে । নারীর মধ্যে সৌন্দর্য্যের যে প্রকাশ উৰ্ব্বশী তারই প্রতীক। সে সৌন্দর্য্য আপনাতেই আপনার চরম লক্ষ্য— সেই জন্য > &む