পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রির বর্ষণ, অন্ধকারের মধ্যে মুখরিত হয়ে চলেছে আংশিক এবং ক্ষণিক গোচরতার মধ্যে । ভেবে দেখ না এই মুহূৰ্ত্তেই তোমাদের পাড়ায় মানব জীবনের যে অগণ্য সুখদু:খ ক্রন্দিত হয়ে উঠচে সে কত বড়ো মোটা পর্দার পিছনে। সাহিত্যে সেইগুলি নিয়ে যা সৃষ্টি করব সে হচ্চে সংসারের বহু বিস্মৃতিরই ধারাপতন । ইতিহাসের বড়ো বড়ো জিনিষ রক্ষিত হচ্চে নানা আকারে, তারা আমাদের স্মৃতিসম্পদ ; যেগুলি অখ্যাত অগোচর অথচ যেগুলি প্রত্যেক মানুষেরই চেতনায় প্রতিমুহূৰ্ত্তে তরঙ্গিত সেই সমস্ত আশুবিলীয়মান পদার্থকে রূপ দিতে চাই যে রচনায় তারই ধারাকে খুব সম্ভব কবি জীবনের শ্রাবণরাত্রির বিস্মৃতিবৃষ্টি বলেচেন । সাহিত্যের ক্ষেত্রে তারা স্মৃতি অধিকার করবে বটে কিন্তু মূলে তারা বিস্মৃতিপুঞ্জ, সংসারের বর্জনাধারে তারা বিলোপের অপেক্ষা করচে । ইতি ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর o ۵ ها ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ હૈં শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু o রুদ্ধগৃহ অনেক দিনের লেখা । পড়তে গেলে অন্য কারো রচনা বলে বোধ হয় । তুমি প্রশ্ন না করলে ওর অস্তিত্বের > ○○