পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাদপুর রবীন্দ্র-জয়ন্তীর জন্য লিখিত ও পঠিত অভিনন্দন পত্র রবীন্দ্র-বন্দন৷ হে কবি-গুরু, তোমার এই জন্মদিনে আমরা তোমাকে ভক্তিভরে প্রণাম করি । তোমার জন্মলাভে আমরা লাভবান হইয়াছি নানা রকমে, সেই জন্য কৃতজ্ঞ হৃদয়ে তোমাকে আমরা বন্দনা করি । হে রবি, তোমার উদয়ে বঙ্গদেশ হইতে সমগ্র ভারতে তোমার ভাতি উদভাসিত হইয়া পড়িয়াছে, তোমার প্রতিভায় সমগ্র জগৎ প্রভাস্বর হইয়াছে। তুমি প্রদীপ্ত, তোমার প্রোজ্জল প্রভায় বাংলাদেশের মানস-কাননে নববসন্তের অভু্যদয় হইয়াছে। তুমি প্রাণময়, তোমার সন্দীপন-মন্ত্রে বাংলার স্বপ্ত প্রাণশক্তি সঞ্জীবিত হইয়া উঠিয়াছে। তোমার মহিমার অসাসান্য ঐশ্বৰ্য্য ও অকৃপণ দানের প্রাচুর্য্য দেখিয়া মুগ্ধ শ্রদ্ধার সহিত তোমাকে আমরা প্রণাম করি । হে ঋষি, তুমি সত্যভ্রষ্ট, সত্যভাষী, সত্যপ্রকাশক। তুমি বিশ্বমানবের বন্দনীয়। তোমার বাণী শ্রবণ করিবার জন্য বিশ্ববাসী উৎকৰ্ণ হইয়া আছে, তোমার তুৰ্য্যকণ্ঠ অকুষ্ঠিত হইয়া সত্য নির্দেশ করিতেছে। তোমার সত্যনির্দেশ আমাদের সকলের জীবনের মধ্যে সার্থক হোক, অমর। যেম তোমার প্রচারিত সত্যমস্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ করিয়া জীবনকে ধন্য করিতে পারি। হে বিশ্ব-পুরোহিত, তুমি বিশ্ব-মিলন-যজ্ঞের মহা-ঋত্বিক, বিশ্বের কল্যাণমন্ত্র পাঠ করিয়া তুমি বিশ্ব হইতে বিচ্ছিন্ন ভারতকে বিশ্বের সহিত যোগযুক্ত করিয়াছ। তুমি ভূমার উপাসক, ব্রহ্মের পূজক, তুমি সঙ্কীর্ণ ভারতকে মহত্ত্বের উদার বৃহৎ ক্ষেত্রে মুক্তি দিবার জন্য আবিভূতি হইয়াছ । ভারতের ঋষিদের বরেণ্য শিব-সঙ্কল্প তোমার কণ্ঠে পুনরুদ্ৰগীত হইয়াছে। তোমার অরন্ধ এই যজ্ঞের ফলভাগী হইয়া আমরা ধন্য হইয়াছি। হে বরণীয়, তোমাকে আমরা প্রণাম করি । $ b»&