পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রথে মাত্র সপ্তাশ্ব যোজিত, আর তোমায়ু কাব্য-বুথে তুমি সহস্ৰছন্দের অশ্ব সংযোজিত করিয়াছ। তুমি আশ্চৰ্য্যকৰ্ম্ম, তুমি মহামনীষী, তোমার প্রতি চাহিয়া আমাদের বিস্ময়ের সীমা নাই। তুমি পাড়ার যত ছেলে এবং বুড়ে সবারই সমানবয়সী, তুমি সকলের বয়স্ত বন্ধু, শিশুভোলানাথ তোমার খেলার সাথী, যুবক-যুবতী তোমার যৌবননিকুঞ্জের পাখীর গানে সম্মোহিত, বুদ্ধ-বৃদ্ধ যাহার। পরকালের ডাক শুনিয়া খেয়া পার হইবার জন্য তাহাদের জীবনের নৈবেদ্য সাজাইতেছে তাহাদেরও পরম নির্ভর ও সাম্ভনা তুমি । হে সাৰ্ব্বভৌম কবি, তুমি সাৰ্ব্বজনীন কবি, সকল লোকের মনের আনন্দ তুমি, সকল লোকের মনের কথা প্রস্ফুট করিয়া তুলিবার স্বহৃৎ তুমি, সকলের শোকে সাত্বনা, নিরাশার আশা, নিরুদ্যমের সাহস ও উৎসাহ তুমি। তোমাকে আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে বন্দনা করি । হে প্রিয়তম, তুমি যে আমাদের কতখানি প্রিয় তাহ প্রকাশ করিয়া বলিবার মতো ভাষা তুমিই এখনো আমাদিগকে দিয়া উঠিতে পারে। নাই। তোমাকে আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, ভক্তি করি, তুমি আমাদের আত্মার আত্মীয়, মনের মিতা, জীবনের নিয়স্তা বন্ধু, তোমার নিকটে আমরা অজস্র দাম গ্রহণ করিয়া কৃতজ্ঞ। কিন্তু ইহা বলিয়াও তোমার প্রতি আমাদের মনের নিগৃঢ় প্রতিটিকে প্রকাশ করিতে পারিলাম না। তুমি আমাদের মুগ্ধ মনের বন্দন ও অভিনন্দন গ্রহণ করে । হে যশস্বী, তুমি অমর, তুমি অমৃতের আস্বাদ লাভ করিয়াছ, তোমার প্রাণ-সঞ্জীবনী-শক্তি তোমার স্বদেশে ও স্বজাতির মধ্যে অস্তুত হইয়। চিরবিরাজ করিবে । যে বাণী ব্রহ্মার চতুর্মুখ হইতে সমীরিত হইয়। আকাশে নিত্যবিরাজিতা, তাহাকে তুমি নবভূষণে ভূষিত করিয়াছ, সেই বাকৃদেবীই নিত্য তোমার আরতি করিবেন, তোমাকে বিজয়মাল্য দিয়া স্বয়ম্বর সভায় যে কাব্যলক্ষ্মী বরণ করিয়াছেন তিনি >br"