পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেসিডেন্সী কলেজে বি.এ. পড়তে ভর্তি হয়েছি, আর থাকি হিন্দু হোষ্টেলে। সেখানে একদল লোক ছিল যারা রবিবাবুর কাব্যকে অস্পষ্ট ও অর্থহীন বলে নিন্দ কবুত, এবং আমিও তাদের সঙ্গে যোগ দিতাম, রবিবাবুর কোনো লেখা না পড়েই। একদিন এক মজলিশে রবিবাবুর নিন্দ হচ্ছিল। আমি খুব উৎসাহের সঙ্গে তাতে যোগ দিচ্ছিলাম। সেখানে মুখ বুজে বসেছিলেন আমাদের সহপাঠী অধুনা স্বর্গগত নলিনীকান্ত সেন। কিছুক্ষণ পরে আমাদের নিন্দাসভা ভেঙে গেলে নলিনী নিজের ঘরে চ’লে গেল এবং তখনই আমার ঘরে ফিরে এসে আমার বিছানার উপর রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থাবলী ফেলে দিয়ে কোনো কথা না ব’লে ঘর থেকে চ’লে গেল । নলিনী বিনা বাক্যব্যয়ে আমাকে কি বই দিয়ে গেল দেখবার জন্য কৌতুহলাক্রান্ত হ’য়ে দেখলাম রবিবাবুর গ্রন্থাবলী। তার প্রথম *胡 খুলেই পড়লাম--- শুন নলিনী খোলে৷ গো আঁখি, ঘুম এখনো ভাঙিল না কি। দেখ তোমারি দুয়ার পরে সখি এসেছে তোমারি রবি । R কয়েক পৃষ্ঠা উণ্টেই আবার পড়লাম— শুনেছি শুনেছি কি নাম তাহার শুনেছি শুনেছি তাহা । নলিনী নলিনী নলিনী নলিনী— কেমন মধুর আহ ! নলিনী নলিনী বাজিছে শ্রবণে বাজিছে প্রাণের গভীর ধাম, কন্তু আনমনে উঠিতেছে মুখে নলিনী নলিনী নলিনী নাম । و لاج لا