পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাদের জন্য এলবার্ট হলে সম্বধর্না-সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় আর কি কি হয়েছিল এবং কে কি বলেছিলেন তা আজ আর কিছুই মনে নেই, কেবল মনে আছে রবিবাবু গান গেয়েছিলেন— জননীর দ্বারে আজি ওই শুন গো শঙ্খ বাজে ! থেকে না থেকে না ওরে ভাই মগন মিথ্যা কাজে । রবীন্দ্রনাথের প্রসিদ্ধ গান— “অয়ি ভুবনমনোমোহিনী !” আমি তার কণ্ঠ থেকে ঐ সময়েই ইউনিভার্সিটি ইনষ্টিটিউট হলে কোনো উপলক্ষে শুনেছিলাম । q} বাংলা ১৩০৮ সালে শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার ও শৈলেশচন্দ্র মজুমদার ভ্রাতৃদ্বয় মজুমদার লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেন ও নবপর্যায় ‘বঙ্গদর্শন প্রকাশের আয়োজন করতে থাকেন। আমার বই কেনার প্রবল ঝোক ছিল । আমি বই কিনতে যাওয়া উপলক্ষে মজুমদার মহাশয়দের সঙ্গে বিশেষ পরিচিত হই। সেই সময়ে শ্ৰীশবাবুর ভাই-পো প্রবোধবাবু ফরাশী লেখক থিওফিল গ্যতিয়ের লেখা মধুর উপন্যাস মাদমোয়াজেল দ্য মোপ্য পুস্তকের একটি প্রশংসাসূচক পরিচয় পাঠ করেন, ইউনিভার্সিটি ইনষ্টিটিউট হলে । মিটিং শেষ হ’য়ে গেলে আমি প্রবোধবাবুকে তার লেখার প্রশংসা জানিয়ে ফরাসী বইখানির ইংরেজী তর্জমা আছে কি না জিজ্ঞাসা করলাম। এই স্বত্রে প্রবোধবাবুর সঙ্গে আমার পরিচয় হলো, এবং তিনি আমাকে সন্ধ্যাকালে মজুমদার লাইব্রেরীতে যেতে নিমন্ত্রণ করলেন, এই বলে যে, “সন্ধাবেলা আসবেন না আমাদের ওখানে, অনেকে আসেন, সাহিত্য অালোচনা হয় ।” এর পর থেকে অামি মজুমদার লাইব্রেরীর সান্ধ্য মজলিশের একজন সদস্য ব’লে গণ্য হ’য়ে গেলাম। এখানে “উদভ্ৰান্ত-প্রেম”-প্রণেতা চন্দ্রশেখর > 2b