পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করবারই ব্রত গ্রহণ করেছিল। তাই আমার মনের ধারণা লোকের কাছে আমি প্রকাশ করে কখনো বলতে সাহস করি নি। আজ সত্যেন্দ্রকে আমারই মতামুকুল পেয়ে আমি আনন্দিত হলাম, আমার পৃষ্ঠপোষক পেয়ে আমার সাহস বাড়লো, আমি মনে জোর পেলাম । এই সময় রবীন্দ্রনাথ পাকে-চক্রে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আমাকে জানাতে লাগলেন যে আমাকে তিনি তার বিদ্যালয়ে চান। আমাকে একদিন বললেন—“চারু, তুমি কি আমাকে একজন এমন লোক দিতে পারো যে একটু সংস্কৃত জানে, ইংরেজীটাও নেহাৎ ভুল করে না, আর আমার লেখাগুলোকে নিতান্ত তুচ্ছ বলে অবহেলা করে না।” বন্ধুবর অজিত চক্রবর্তী আমাকে বললেন—“গুরুদেব তোমাকেই চান ৷” আমি তখন সদ্যঃ ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস খুলেছি, আমার উপর নির্ভর করে ইণ্ডিয়ান প্রেসের মালিক চিন্তামণিবাবু অনেক টাকা ব্যয় করেছেন, এখন আমার তার কর্ম ত্যাগ ক’রে বোলপুরে চলে যাওয়া উচিত হবে না ব'লে আমার মনে হলো । আমি রামানন্দবাবুকে পরামর্শ জিজ্ঞাস করলাম ; তিনি বললেন—“না, আপনি এখন যেতে পারেন না।” আমি বাধ্য হয়ে কবিগুরুর আমন্ত্রণ স্বীকার করতে না পেরে খুবই ক্ষুন্ন হলাম। তখন কবিকে বললাম—“আপনি যদি লোক চান তো আমার চেয়ে বহু গুণে ভালো লোক আপনাকে এনে দিতে পারি।” তিনি লোক চাওয়াতে আমি বন্ধুবর বিধুশেখর শাস্ত্রী ও ক্ষিতিমোহন সেনকে শান্তিনিকেতনে আসতে প্ররোচিত করি । অ।মি একবার শান্তিনিকেতনে গিয়ে ক্ষিতিমোহনের আশ্রমে অামার জিনিষপত্র রেখে কবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। ক্ষিতিমোহন বললেন—“তুমি যাও, আমি একটু পরে যাচ্ছি, তার পর একসঙ্গে বেড়াতে যাব।” ক্ষিতিমোহনের প্রতি আমার প্রীতির প্রবল টান কবি টের পেয়ে ૨ ૭ °ો