পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাতিরে ষে কবিতাটিকে একেবারে বর্জন ও লোকলোচন থেকে বিসর্জন করেছেন সেটিও যে একটি উৎকৃষ্ট কবিতা তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। ষখন গীতালি’র গান নকল করছিলাম সেই সময় একদিন বন্ধুবর অসিতকুমার হালদার আমাকে বললেন—“চলে গয়া বেড়িয়ে আসি।” অসিতের প্রস্তাব রবিবাবুর জামাতা শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী মহাশয়ও শুনে তিনিও যেতে প্রস্তুত হলেন । শেষে কবিও যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, এবং ক্রমে আমাদের দল বেশ পুষ্ট হয়ে উঠল, শ্ৰীমতী হেমলতা দেবী ও মীরা দেবীও চললেন । যাত্রার সময় রবিবাবু আমাকে বললেন —“চারু, আমিও তোমাদের সঙ্গে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে যাব।” আমি অনেক অনুরোধ ক’রে র্তাকে ঐ সঙ্কল্প ত্যাগ করালাম, তাকে এই বলে বুঝিয়ে বললাম—তাতে আপনার তো কষ্ট হবেই, আর আপনার কষ্ট হচ্ছে ভেবে আমাদেরও শাস্তিস্বস্তি কিছু থাকবে না। গয়ায় তখন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয়, আর বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ছিলেন । তারা সহরে একদিন রবীন্দ্রনাথকে সম্বর্ধন। করলেন। সেই সভায় বসস্তবাবু গান গাইলেন আর এক ভদ্রলোক হারমোনিয়াম বাজালেন। একটি কচি মেয়ে আবৃত্তি করলে। তার প্রথম লাইনটি মনে আছে— তবু মরিতে হবে। সভা থেকে বেরিয়ে বুদ্ধগয়ায় আসবার বাস্তায় গাড়ীতে রবিবাবু আমাকে বললেন—“দেখেছ চারু, আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত। অামি না হয় গোটাকতক গান কবিতা লিখে অপরাধ করেছি, তাই বলে আমাকে ধ’রে নিয়ে গিয়ে এ রকম যন্ত্রণ দেওয়া কি ভদ্রতাসঙ্গত । গান হলো, কিন্তু দুজনে প্রাণপণ শক্তিতে পাল্ল দিতে লাগলেন যে কে কত বেতালা বাজাতে পারেন আর বেম্বরে। গাইতে পারেন, গান যায় যদি এপথে তো তার বাজনা চলে তার উন্টে পথে । গায়ক বাদকের এমন স্বাতন্ত্র্য ૨ 8 હજી