পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কয়েক পৃষ্ঠা চিরকাল সাক্ষী হয়ে থাকৃবে। পান্থ তুমি পাস্থজনের সখা হে, পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া । যাত্রাপথের আনন্দগান যে গাহে তারি কণ্ঠে তোমারি গান গাওয়া । স্বখের মাঝে তোমায় দেখেছি, দুঃখে তোমায় পেয়েছি প্রাণ ভরে । হারিয়ে তোমায় গোপন রেখেছি, পেয়ে আবার হারাই মিলন ঘোরে। 置 বুদ্ধগয়ায় একদিন তিনি সমস্ত দিন অক্ষাত অভূক্ত থেকে ঘরে দরজা দিয়ে কেবল গান লিখে লিখে ভগবানের সঙ্গে মিলন অনুভব করেছিলেন । তারও একটু পরিচয় গীতালি'র পাতায় লেগে আছে। তোমার কাছে চাইনে আমি অবসর । অামি গান শোনাব গানের পর । বাইরে হোথায় দ্বারের কাছে কাজের লোকে দাড়িয়ে অাছে, আশা ছেড়ে যাক্না ফিরে অাপন ঘর । অামি গান শোনাব গানের পর । গয়া থেকে রবিবাবু এলাহাবাদ গেলেন। আমাকেও সঙ্গে যেতে হলো। আর সবাই শাস্তিনিকেতনে ফিরে গেলেন । এই যাত্রায় ১৩২১ সালে এলাহাবাদে বিলাকা’র জন্ম হয়। যখন তিনি ফিরে কলকাতায় এলেন তখন মাঘ মাস। তিনি আমাকে বললেন—“দেখ চারু, আসবার সময় রেল লাইনের দুধারে দেখলাম কত ফুল ফুটে রয়েছে। তারা সৰ বসন্তের অগ্রদূত। তাদের ওপর আমার একটা কবিতা লিখতে ইচ্ছে ૨૨ ૭