পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন পূরবীতে প্রকাশিত কবিতা লেখার পালা চলেছে। অামাকে কবি পত্র লিখে জানালেন—“চারু, কয়েকটা কবিতা লেখা হয়েছে, খদের অনেক, আগে তোমাকে পড়ে শোনাতে চাই, দেখে যেতে পারে। যদি কোনোট। তোমাদের ‘প্রবাসী’তে চলে।” আমি তার কাছে গেলাম । তিনি আমাকে প’ড়ে শোনালেন অনেকগুলি কবিতা । আমি বললাম— এ যে দেখি আপনার আবার ‘মানসী’ ‘সোনার তরী’র যুগ ফিরে এসেছে ! কবি হেসে বললেন—“তবে যে তোমরা বলে যে আমি আর কবিতা লিখতে পারি না। তবে ভালো হয়েছেই বলে তুমি বেশী লোভ কোরে না, একটা—গোণা একটা— বেছে মাও ।” আমি দুটি কবিতা বেছে তাকে বললাম—এই দুটির মধ্যে কোনটি আমি নেবো, তা আর আমি স্থির করতে পারছি না, আপনিই দিন যেটা হয়। কবি হেসে বললেন—“তুমি ভারি চালাক, দুটো নেবারই ফন্দি । তবে ঐ দুটোই নাও।” সেই সব কবিতার কবির হাতে লেখা কপি আমার কাছে সযত্নে সংরক্ষিত অাছে। 醉 যখন অামি কবির কবিতা থেকে চয়নিক প্রথম প্রকাশ করি, তখন কবির সঙ্গে বহু কবিতার অন্তর্নিহিত অর্থ সম্বন্ধে আমার আলোচনা হয় । পরেও ঢাকায় শিক্ষকতা করার উপলক্ষে অনেক কবিতার মর্ম অামি র্তার কাছ থেকে জেনে নেবার সুযোগ ও সৌভাগ্য পেয়েছি। সে গুলিও অামার কাছে লেখা আছে। যদি অবসর পাই তবে কবির কাব্যের মৰ্মকথা প্রকাশ করবার বাসনা আছে। সেই সময় আমি তার সমস্ত গানের ও একটা সংগ্রহ প্রকাশ করি । আমি তখন তাকে অনুরোধ ক’রে ক’রে বহু গান তার কাছ থেকে শুনেছি। প্রেমের গানও বাদ দিই নি। আমি তাকে যেদিন “বিধি ডাগর আঁখি যদি দিয়েছিল, সে কি আমারই পানে ভুলে চাহিবে না” গানটি গেয়ে শোনাতে অনুরোধ করলাম, সেদিন আমাকে তিনি বললেন Տ \3 օ