পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯-৪ থেকে ১৯৩৮ দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর ব্যাপী চিঠিপত্র-সম্বন্ধের রবীন্দ্রনাথের লেখা ১২০টি চারুচন্দ্রের ১•খানি 衍流 রক্ষিত হয়েছে। মধ্যে ১৯০৫ থেকে ১৯০৮, ১৯২১, ১৯২৩-১৯২৪, ১৯৩০, ১৯৩৫ এই ন বছরে কোনো পক্ষে পত্র ব্যবহার নেই। চারুচন্দ্রের সব কটি চিঠি ঢাকা বাসকালের, অনুমান করা যায় রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় চিঠিই চারুচন্দ্র রক্ষা করেছেন। তিনি ছিলেন আজীবন অচ্ছিন্ন রবীন্দ্রানুরাগী । ২৮শে এপ্রিল ১৮৯৪ কলকাতা স্টার থিয়েটারে অতুষ্ঠিত বঙ্কিমচন্দ্রের শোকসভায় চারুচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে প্রথম দেখেন । তিনি প্রবন্ধ পাঠ করেছিলেন, গাইতে অনুরুদ্ধ হয়েও গান নি। চারুচন্দ্র তখন এন্ট্রান্স ক্লাসের ছাত্র, সতেরো বছর বয়স। দ্বিতীয়বার দেখেন, চারুচন্দ্র লিখছেন, ১৮৯৬ সালে ইউনিভার্সিটি ইনিস্টিটিউটের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা-সভায়, সমবেত শ্রোতাদের পীড়াপীড়িতে তিনি ‘অামায় বোলো না গাহিতে বোলো না’ গানটি গেয়ে শোনান। তারপর দেখেন ওই ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলেই ‘গান্ধারীর আবেদন পাঠ সমাবেশে, কবিতাপাঠের পর সেদিনও একটি গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রশাস্তকুমার পাল সে সভার দিন ১০ ডিসেম্বর ১৮৯৭ শুক্রবার বলে ধার্য করেছেন, সভা বিবরণ স্থত্রে চারুচন্দ্রের সাক্ষ্যও উদ্ভূত করেছেন। রবীন্দ্ৰকাব্যের সঙ্গে চারুচন্দ্রের সাক্ষাৎ পরিচয় ঘটে ১৮৯৭এ, বি.এ. পড়ার কালে । তার হিন্দু হস্টেলের এক সহাধ্যায়ী নলিনীকান্ত সেন ( ‘রবি-রশ্মিীর ইনিও একজন উৎসর্গভাগী ) ১৮৯৬এর শেষ দিকে সদ্য বেরোনো একখানি 'কাব্য গ্রন্থাবলী’ বই তাকে পড়তে দেন, দীর্ঘ দিন পর চারুচন্দ্র তার পৃ ১ ও পৃ ৭এর ‘প্রভাতী’ ও ‘উল্লাস’ থেকে মনে করে কয়েক ছত্র কবিতা উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতা অামার ○ e"