পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯০৪ ) সোমবার প্রাতে জোড়াসাকোর লালবাড়িতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করেন চারুচন্দ্র। বঙ্গদর্শনে তখন মাঘ কিস্তির ‘নৌকাডুবি বেরিয়েছে, রমেশের সঙ্গে কমল ও হেমের সম্বন্ধ-জটিলতা নিয়ে আলোচনা চলছে অন্যান্য অভ্যাগতদের সঙ্গে, চারুচন্দ্র এক সহজ সমাধান প্রস্তাব করে বসলেন কথার মাঝখানে । ‘কথার মধ্যেই রবিবাবু হঠাৎ আমার দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি চারুবাবু?” । ১৯০৪এ লেখা পাচখানি পত্রেই পাঠ সবিনয় নমস্কার’ বা ‘সবিনয় নমস্কার নিবেদন/সম্ভাষণ’, এবং সম্বোধন ‘আপনি’ । পাচটি চিঠিতেই চারুচন্দ্রের ঠিকানা ৪২ বডন রো, কলিকাতা, কেবল চতুর্থ পত্ৰখানি রি-ডাইরেক্টেড হয়ে যায় তার দেশের বাড়ি জীরাট, বলাগড় পোস্ট অফিস, হুগলিতে । চারুচন্দ্র লিখেছেন, ‘এর পর আমি অবস্থা বিপর্যয়ে কয়েক বৎসর কলকাতাছাড়া হয়ে ছিলাম।” সম্ভবত প্রথম যান মালদহ জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে, মালদহের অন্তর্গত চাচলের রাজার ভাগিনেয়ী ছিলেন র্তার মা, মালদহেই চারুচন্দ্রের জন্ম, সেখানেই র্তার বাল্য কেটেছিল। তারপর ইণ্ডিয়ান প্রেসের কর্ম নিয়ে ১ এলাহাবাদে গিয়ে ওঠেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি—বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ১৯০৬এ রামানন্দ তখন এলাহাবাদ কায়স্থ পাঠশালা কলেজের অধ্যক্ষ পদ ছেড়ে প্রবাসী ও মডার্ন রিভিউ বের করছেন— ইণ্ডিয়ান প্রেস থেকে, চিন্তামণি ঘোষের আনুকূল্যে। প্রবাসীতে চারুচন্দ্রের অনেকগুলি লেখাও । প্রকাশিত হয়েছে এর মধ্যে। চিস্তামণি ঘোষ লিখেছেন, চারুচন্দ্র প্রায় চার বছর কাল ইণ্ডিয়ান প্রেসের সিনিয়র রীডার, জেনারেল প্রেস অ্যাসিস্টেণ্ট এবং প্রেসের সংযুক্ত বুক ডিপোর ভারপ্রাপ্ত কর্মীরূপে কাজ ১ ইণ্ডিয়ান প্রেসের প্রধান প্রফ রাডারের কাজ । দ্র, শাস্তা দেবী : “রামানন্দ ও অর্ধশতাব্দীর বাংলা’ পৃ ১২৫ ৷ ২ দ্র, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় : “স্বগীয়া মনোরম দেবী । প্রবাসী, শ্রাবণ ১০৫০ পু ২৬৬। শাস্তা দেবীর সাক্ষ্যে রামানদের বাড়ি তখন ২/১ সাউথ রোড, এলাহাবাদ । هي م نتا