পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*১৯০৮ সালের অাষাঢ় মাস থেকে কান্তিক প্রেসে অামাদের আসর বসতে লাগল নিত্য । চারুচক্স এ সময়ে কলকাতায় থাকেন. এলাহাবাদের ইণ্ডিয়ান প্রেসের এখানকার কর্মাধ্যক্ষ হয়ে । রবীন্দ্রনাথের সমস্ত গ্রন্থপ্রকাশের ভার পেয়েছেন তখন ইণ্ডিয়ান প্রেস। র্তারা এখানে দোকান খুলেছেন ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ২২। ১ নং কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে। ১লা অগস্ট ১৯০৯ থেকে মণিলালের সঙ্গে প্রকাশনার অংশীদারী ব্যবসায়ে নামলেন চিন্তামণি ঘোষ। এ বাবদে চিন্তমণি ঘোষ এবং মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে অংশীদারীর শর্তাদি নিয়ে নতুন চুক্তি সম্পাদিত হল ১লা জানুয়ারি ১৯১ •এ (দ্র. এই বই পৃ ২৯৬-৩• ৪), তারও সাক্ষী চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় সাক্ষী কালাচাদ দালাল । ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসের প্রথম দিকের বইয়ে প্রকাশক বলে কালাচাদ দালালের নাম থাকত । ৩১শে জুলাই ১৯০৮এ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে লেখা চিঠিতে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছিলেন, ‘চারুচন্দ্রের এরূপ পরিবর্তনের কারণ কি ? কবি ও লেখক থেকে একেবারে নিতান্ত গুরুদাসপন্থী প্রকাশক •••’। ২৬শে মার্চ ১৯১৪য় এলাহাবাদ ইণ্ডিয়ান প্রেস এবং কলকাতা ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসের স্বত্বাধিকারী স্বয়ং চিন্তামণি ঘোষের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ৮৭খানি বইয়ের যে নতুন চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় সেখানে মণিলালের সংস্রব নেই, চারুচঞ্জেরও নেই। তার অনেক আগেই, সম্ভবত ১৯১৯এর শেষ দিকেই চারুচন্দ্র ঘনিষ্ঠ হয়েছেন প্রবাসীর সঙ্গে (দ্র ২৩.১০.১৯০৯এর পত্র ৬ ), হয়তো ১৯১০এর মাঝামাঝি পূর্ণত সংযুক্ত হয়েছেন প্রবাসী মডার্ন রিভিউয়ের সহসম্পাদকরূপে। অজস্রবিষয়ের নিয়মিত লেখকরূপেও বটে। হয়তে। ওই বই সূত্রে আরো বলতে হয় অত:পর রবীন্দ্রনাথের প্রায়াংশ রচনার অবিচ্ছিন্ন গুণগ্রাহী প্রকাশ-পত্র রূপে প্রবাসী মডার্ন রিভিউয়ের অনন্ত ভূমিকার ক্ষেত্রে চারুচন্দ্রের নিরস্তর মধ্যবর্তিতার কথা। ১৯২৭এর মাঝামাঝি রামানন্দ যে রবীন্দ্রনাথকে সক্ষোভে লিখেছিলেন, ‘প্রবাসীর ভাদ্র সংখ্যা হইতে আমি আপনার লেখা হইতে বঞ্চিত থাকিতে প্রতিজ্ঞ ○ > >