পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠিকানা দাড়িয়েছে 210-8-1 Cornwallis Street এই রূপে, ৮ জুলাই ১৯২২এর পত্র ৮৪তে রবীন্দ্রনাথের জরুরি তলব পুনঃপ্রেরণের জন্য ঠিকানার নীচে ৪১/১ শিবনারাণ দাসের লেন লিখে দিয়েছেন কেউ বাংলায় মেয়েলি হাতে। . তার অনেক আগেই অবখ্য চিঠির পাঠ ‘প্রিয়বরেষু, ‘স্বস্বস্বরেষু’, ‘প্রিয়সম্ভাষণমেতৎ ইত্যাদি থেকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৪র পত্র e৮ থেকে স্থির হয়ে গেছে ‘কল্যাণীয়েযুতে। ২ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬র পত্র ৬৯এ সংশয় অন্ধকার পথে বিপদের বন্ধু বলে স্বীকার করে চারুচন্দ্রকে দু ছত্র ইংরেজি পদ লিখে পাঠিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ । অন্তত এক দশকের এই ক্রমান্বিত ঘনিষ্ঠতার ইতিহাস। আশ্বিন ১৩১৩য় সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘বেণু ও বীণা’ নামে দ্বিতীয় কাব্যখানি ‘বর্তমান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক. অলোকসামান্য শক্তিসম্পন্ন কবির উদ্দেশে’ সসন্ত্রমে উৎসৰ্গিত হয়েছিল। অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের উদেশে, ‘ঘরে থাকতে পরকে দিতে যাবেন কেন বই— কবির এই স্বীকার জানতে পেরে অস্তরের সায় সমর্থন খুঁজে পান তাতে চারুচন্দ্র। প্রবাসী মাঘ ১৩১৩য় খেয়া', তারপর দেবালয় কাতিক ১৩১৭য় ‘রবীন্দ্রপ্রতিভার শ্রেষ্ঠত্ব কিসে? প্রবন্ধে চারুচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের জন্য ‘উচ্চতম কবির সিংহাসন দাবি করেছিলেন, এবং এই প্রত্যয় অবিচলিতভাবে জ্ঞাপন করে গেছেন সারা জীবন । ১৩৩৪এ চারুচন্দ্র লিখেছেন ময়মনসিংহ রবীন্দ্রজন্মোৎসবে ‘আমি আমার অভিভাষণে জগতের সকল কবির চেয়ে আপনাকে শ্রেষ্ঠ বলেছি...’ । ১৯৩৪এ ‘বঙ্গ-বীণা’ সংকলন করতে গিয়েও চারুচন্দ্র লিখেছেন, “আপনার কবিতা দিয়েই বইখানি ভরে দিতে ইচ্ছা করে।’ কাব্যমুগ্ধতাতেই শেষ নয়। ‘শ্রাবণে তোমরা আমার বার্ধক্য সম্বন্ধে উল্লাস প্রকাশ করবার সঙ্কল্প করেছ বলে রবীন্দ্রনাথ যে উপলক্ষে পরিহাস ১ পত্র ৭৬এর ঠিকানায় ভুলক্রমে একবার 210-3-2 Cornwallis Street লেখা হয়েছে । ○ > 8