পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুটির পর আশ্রমে গিয়ে শুনলুম সতীশবাবু বসন্তরোগে আক্রান্ত। সেইজন্য বিদ্যালয় শিলাইদহে বসেছে। আশ্রমে কোদো আর কে যেন আছেন সতীশবাবুর পরিচর্য্যার জন্য। অত্যস্ত আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখতে গিয়েছি। বাইরে জানলা দিয়ে দেখা যায়। লেবরেটরী ঘরের মেঝের উপর যেন তিনি ধ্যানমগ্ন হয়ে নীরবে বসে রয়েছেন। আমাকে বেশীক্ষণ দাড়াতে দেওয়া হল না। ক’দিনের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরের ট্রেনেই কলকাতা ফিরে এসে শিলাইদহ যাত্রার ব্যবস্থা হল.” । “আশ্রম-স্মৃতি’। ‘রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা’ ( ১৩৬৮) গ্রন্থে সংকলিত । রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও লিখেছেন, ‘সতীশবাবুর মতে শিক্ষক বিরল।. অল্প সময়ের জন্য তাকে পেয়েছিলাম— কিন্তু তার কাছ থেকে তারই মধ্যে যা পেয়েছিলাম, ভোলবার মতো নয়।’ দ্র. ‘পিতৃস্মৃতি ১৩৭৮ সং পৃ ৭২-৭৫ । শিলাইদহে বিদ্যালয় স্থানান্তরিত । ‘সম্প্রতি বোলপুর বিদ্যালয়ের একটি অধ্যাপকের বসন্তরোগে বিদ্যালয়গৃহে মৃত্যু হওয়ায় আমাদের সমস্ত ইস্কুলটি শিলাইদহে অনিয়াছি সে খবর বোধ হয় পাইয়াছ । ইহাতে বিস্তর ব্যয় ও পরিশ্রম করিতে হইয়াছে— তাহাই লইয়া এখনো বিব্রত আছি । ১৫ই বৈশাখ পৰ্য্যস্ত বিদ্যালয় এখানেই থাকিবে ।’ শিলাইদহ থেকে মহিম ঠাকুরকে লেখা রবীন্দ্রনাথের ৭ ফাঙ্কন آن ۶ بی ه لا را لا অজিতকুমার চক্রবর্তী লিখেছেন : ‘১৩১• সালের মাঘে সতীশ যখন অকালে বসন্তরোগে এই আশ্রমে মারা গেলেন তখন মোহিতবাবু তাহার কলিকাতার অধ্যাপন ত্যাগ করিয়া বিদ্যালয়ে আসিয়া যোগ দিলেন। তখন কিছুকালের জন্য শিলাইদহে বিদ্যালয় উঠিয়৷ গিয়াছিল। মোহিতবাবু সেইখানে গিয়া বিদ্যালয়ের কর্মভার গ্রহণ করিলেন। ১৩১১ সালে গ্রীষ্মের ছুটির পর বিদ্যালয় ৰোলপুরে \9\రి )