পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবহারের জন্য চয়ন করিয়া না লইলে তাহার সম্পূর্ণ তৃপ্তির সম্ভাবন: নাই । তাই বলিয়া প্রত্যেক পাঠকের রুচির মধ্যে একেবারে আকাশ পাতাল প্রভেদ হইবে এমন আশঙ্কাও করি না। বিশেষত কোনো বিশেষ কবি যে-পাঠকশ্রেণীর নিকট বিশেষভাবে প্রিয়, নিঃসন্দেহেই র্তাহীদের মধ্যে রস-গ্রহণ-শক্তির একটা গভীরতর ঐক্য আছে। অতএব আমরা যে-কবির কাব্যের অনুরাগী তাহার কাব্য হইতে যখন চয়নে প্রবৃত্ত হইয়াছি তখন অন্য অমুরক্তগণের সহিত যে আমাদের বিশেষ বিরোধ ঘটিবে এমন শঙ্কা করিবার হেতু নাই। চয়নের ভার সৌভাগ্যক্রমে অামাদের হাতে পড়িয়াছে বলিয়া যে আমরা নিজেদের কেনো পীড়া দিই নাই এমন কথা পাঠকেরা মনে করিবেন না। অনেক কবিতা ছাড়িয়াছি যাহার দুঃখ এখনো মন হইতে যায় নাই, যে জন্য এখনো মনে দ্বিধা রহিয়া গিয়াছে — ইহার মধ্যে এমন অনেক কবিতা দিয়াছি যাহা এই কবির কাব্যের বিশেষ বৈচিত্র্যের পরিচয় দিবার জন্যই উদ্ধৃত হইয়াছে। সংগৃহীত কবিতাগুলিকে আমরা বিশেষ বিশেষ শ্রেণীতে ভাগ করিয়াছি । চয়ন কৰ্ত্তার কাজের সুবিধা লক্ষ্য করিয়াই অামাদিগকে এই শ্রেণীবিভাগ অবলম্বন করিতে হইয়াছিল। ইহাতে পাঠকদের কোন সুবিধা হইতেও পারে, নাও হইতে পারে । কবিতা জিনিষকে শ্রেণীতে ভাগ করা সহজ মহে । এই শ্রেণীভাগ সম্বন্ধে পাঠকদের সকলের সঙ্গে যে আমাদের মতে মিলিবে তাহাও আশা করি না— মতে মিলিবার প্রয়োজনও নাই। এই ভাগ যখন কবির কৃত ভাগ নহে, তখন পাঠকগণ যদি পছন্দ না করেন তবে ইহার প্রতি লক্ষ্য না করিলে কোন ক্ষতি হইবে না । পরিশেষে প্যালগ্রেভ তাহার ‘স্বর্ণগীতিভাণ্ডার’ প্রকাশের সময়ে যাহা বলিয়াছিলেন সেই মহাজনবাক্য অমুসরণ করিয়া আমিও এই \う8br