পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝড় । সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ঝড় বৃষ্টি জলোচ্ছ্বাসের সংবাদ কাগজে দেখা যায়। অজয়ের প্লাবনের সংবাদ বেরোয় ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৯এর কাগজে। ২০ সেপ্টেম্বর বেরোম রবিবার অপরাহে । ‘Calcutta experienced a thunderstorm of excep পরিসরে নিযুক্ত থাকার পর রয়্যাল কমিশন অন ডিসেন্ট লাইজেশনের একমাত্র ভারতীয় সদস্যরূপে মনোনীত হন। কমিশনের কর্ম-পরিসরের শেষে মার্চ ১৯০৯এর শেষ দিকে তিনি কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন । অতঃপর শ্রীকারসাম্পজির অবসর গ্রহণের পর ১ জুন ১৯০৯ বরোদার মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হয়ে দ্বিতীয়বার বরোদায় গমন করেন। ৩০ নভেম্বর ১৯০৯এ বরোদায় রমেশচন্দ্রের মৃত্যু হয় । W. J. N. Gupta : Life and Works of Romesh Chunder Dutt C. I. E., London : J. M. Dent & Sons Ltd. 1911 pp 309-416, 445-455, 479–485. রমেশচন্দ্র বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের জন্মমুহূর্ত থেকে তার নেতৃস্থানীয় ছিলেন, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের তিনি প্রথম সভাপতি। কর্মব্যপদেশে অন্যত্র থাকা কালেও পরিষদের বহু কল্যাণ তিনি সাধন করেছেন। ডিসেন্টালাইজেশন কমিশনের কর্মপরিশেষে কলকাতায় এলে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষদ ২ বৈশাখ ১৩১৬ তারিখে তার সংবর্ধনার জন্য সান্ধ্য সম্মিলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। বরোদায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করবার পর বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের দৃষ্টান্তে সেখানে তিনি মহারাষ্ট্র সাহিত্য পরিষদ স্থাপনের যত্ব করেন । সাহিত্য-পরিষৎ-পঞ্জিকায় লিখিত হয়েছে : বরোদায় মন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর বিগত শারদীয় পূজার সময় বরোদ নগরে মহারাজ গাইকোয়াড়ের প্রবর্তনায় যে মহারাষ্ট্র-সাহিত্য-সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়, সেই সম্মিলনে প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য তিনি স্বহস্তে বিশেষ নিমন্ত্রণ স্বারা পরিষৎকে আহবান করেন এবং বরেণদণধিপতির কৃপাকটাক্ষ দ্বারা পরিষৎকে সাহায্য করিবেন, এই অাশা পর্য্যন্ত দিয়াছিলেন। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় পরিষদের প্রতিনিধিরূপে সেই সভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং তিনি সেখানে যে সবিশেষ সম্মান লাভ করেন, তাহাতে পরিষৎ সভাস্থলে সমবেত দক্ষিণাত্য পণ্ডিতমণ্ডলীর সমক্ষে বিশেষ গৌরব ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। মুখ্যতঃ রমেশচন্দ্রের যত্বে ও উৎসাহেই সেই সম্মিলন উপলক্ষে বঙ্গীয় সাহিত্য لا ما O\ > 8ાર 8