পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐশচন্দ্র মজুমদারের দ্বিতীয় পুত্র ভোলা, সরোজচন্দ্র মজুমদার ( ১৮৯৩-১৯১• ) সন্তোষচন্দ্রের ছোটো ভাই, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে শমীন্দ্রের সহপাঠী । ১১ আষাঢ় ১৩১৭ ( ২৪ জুন ১৯১০ ) শেষ রাতে আশ্রমের ছাত্রাবাসে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় রবীন্দ্রনাথ শুশ্রুষা করেছেন তার শয্যাপাশে বসে, সেই বিবরণ সুধীরঞ্জন দাস রক্ষা করেছেন তার শাস্তিনিকেতনের স্মৃতিকথায়, উদদ্ভুত করি : একদিন জ্যোৎস্নায় আকাশ ভরে গিয়েছে— রাত্রের খাওয়া শেষ হলে সুহৃদ ও অামি, আর কে কে বেরিয়ে পড়েছি খেলার মাঠে ।. হঠাৎ নজরে পড়ল, আমাদেরই ঘরের সামনে কার লণ্ঠন নিয়ে ছুটোছুটি করছে। খুবই অস্বস্তি বোধ করলাম, একটা অনির্দিষ্ট অমঙ্গল অtশঙ্কায় মনে কেমন যেন ভয় হতে লাগল। আমরা সব তাড়াতাড়ি ফিরে এলাম ঘরে । এসে দেখি ভোলা র্তার বিছানায় বেহু*শ হয়ে পড়ে আছেন এবং গুরুদেব র্তার পাশে একটা মোড়া না কিসের উপর স্তম্ভিতভাবে বসে আছেন, নির্নিমেষ চোখে ভোলার দিকে তাকিয়ে । একটা টিপাইয়ের উপর কয়েকটা বাইওকেমিক ওষুধের শিশি । একটু পরেই বোলপুর থেকে হরিচরণ ডাক্তারবাৰু এসে যখন বুক পিঠ ও নাড়ী পরীক্ষা করে মাথা নেড়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন, বুঝতে পারলাম যে আমাদের সতীর্থটিকে আমরা হারলাম। গুরুদেবের তন্ময় মুখচ্ছবিতে যে দুঃখ ও করুণার ভাব ফুটে উঠেছিল আজও তা ভুলি নি । ভোলার হঠাৎ কী হল আমরা কিছুই বুঝলাম না, পরেও জানতে পারি নি । মনের মধ্যে বিশেষ করে জাগছিল এই কথাটা, শমী গেলেন ভোলাদের মুঙ্গেরের বাড়ি হতে, আর ভোলা চলে গেলেন গুরুদেবের আশ্রম থেকে । ভোলা ও শমীর মধ্যে বিশেষ সম্প্রীতি ছিল বলেই বোধ হয় এই কথাটা বার বার মনে আসছিল। প্রত্যুষে তার দেহ সৎকার করে শ্মশান থেকে যখন \pዓ8