পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রফুল্লচন্দ্র রায় তাহদের অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন যে, রবীন্দ্রনাথ র্তাহার সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি— সমসাময়িক সমগ্রজগতে র্তাহার তুল্য প্রতিভাবান কবি কেহ প্রাদুভূত হন নাই। বাঙালার এত বড় সৌভাগ্য সহজে বিশ্বাস করিবার নহে ; আবার র্যাহার এমন অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন তাহারা বিশ্বসাহিত্যের সহিত এমনি ঘনিষ্ঠ পরিচিত যে, তাহীদের কথাও অবিশ্বাস করিবার জো নাই । এই কথাটি কোন সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত তাহাই আলোচনা করিয়া দেখানোই এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য।” চারুচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হিসেবে স্থির করেছিলেন র্তার কাব্যের অনন্য অধ্যাত্মভূমি— “যাহা সামান্তত পরিহার করিয়া ভূমানদের অস্তরঙ্গ আত্মীয়রূপে প্রকাশিত হইয়া উঠে,. যাহা বিশ্বের ভিতর দিয়া মানবমনকে বিশ্বেশ্বরের চরণপদ্মের অভিমুখিন করে । ইহা ভারতবর্ষের একান্ত নিজস্ব সাধনা । এবং এই লক্ষণটি অমর। কেবলমাত্র রবীন্দ্রনাথের কাব্যেই পরিস্ফুট দেখিতে পাই।’ রবীন্দ্রনাথের আশঙ্কা মতো পরের মাসেই সাহিত্য পত্রিক চারুচন্দ্রের রচনাকে আক্রমণ করেন : চারু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভার শ্রেষ্ঠত্ব কিসে' নামক স্তবে দেবালয়ের চাতাল হইতে চুড়া পর্যন্ত বোঝাই হইয়া গিয়াছে। ‘চারু প্রথমেই একটি নূতন সংবাদ দিয়াছেন, ‘শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রকুমার শীল ও শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লকুমার রায় তাহাদের অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন যে, রবীন্দ্রনাথ তাহার সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি— সমসাময়িক সমগ্র জগতে র্তাহার তুল্য প্রতিভাবান কবি কেহ প্রাচুভূত হয় নাই। বিজ্ঞানাচার্য ডাক্তার রায় উদক্ষার যান যবক্ষার যানের সাহায্যে বকযন্ত্রে এই মত প্রতিপন্ন করিলে, সত্যই বাঙ্গালীর বুক দশ হাত হইয়া উঠিবে। শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রকুমার শীল সমালোচনায় এই মত প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিলে বাঙ্গালী জগতের \つ切*○