পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের দরবারে মাথা তুলিয়া দাড়াইতে পারিবে। সাময়িক সমগ্র জগৎ’ যতই উদ্ভট হউক, সেই জগতের সমগ্র সাহিত্যের এমনতর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ ও তুলনায় সমালোচনা করিবার শক্তি এ মরজগতে সকলের নাই। আমরা ত অাদার ব্যাপারী, জাহাজের খবর রাখিতেই পারি না ! অতএব, বাঙ্গালীর এই গৌরবটুকু অম্লানবদনে পরিপাক করিতে চেষ্টা করিব। আর ‘বিশ্বসাহিত্যের সহিত বিশেষ ঘনিষ্ঠ’ মনীষী শীল ও ডাক্তার রায় চারু সমালোচককেও সমসাময়িক সমগ্র জগতের "একমাত্র সমালোচক’ বলিয়া স্বীকার করিবেন, সে বিষয়েও আমাদের সন্দেহ নাই ! রবীন্দ্রনাথ প্রতিভাশালী কবি, কিন্তু র্তাহার সকল কবিতাই কামধেনুর মত দোহন করিলে ‘আধ্যাত্মিক’ দুগ্ধ দান করে, ইহা আমরা বিশ্বাস করিতে পারি না। দীর্ঘ বিস্তারের পর আলোচনার শেষে লেখা হয়েছিল : হে ভগবান । রবীন্দ্রনাথ নবযুগের বাঙ্গালা সাহিত্যের গৌরব ; তুমি তাহাকে চারু-সম্প্রদায়ের নির্লজ্জ স্তাবকতা, নির্জলা খোসামুদি ও নিরবচ্ছিন্ন বিড়ম্বনার নরক হইতে উদ্ধার কর । ‘মাসিক সাহিত্য আলোচনা’। সাহিত্য, অগ্রহায়ণ ১৩১৭। পত্র ২৪। জর ও বিদ্যালয়ের আসন্ন অভিনয়ের কথা একই কালে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন পুরোনো ছাত্র অচ্যুতচন্দ্র সরকারকে, পত্ৰখানি উদ্ধৃত করি : কল্যাণীয়েযু আমার শরীর ভাল চলচেনা। মাঝে দুবার জরে পড়েছিলুম— ম্যালেরিয়া নয়। এখনো দুর্বল আছি। বিদ্যালয় ১৭ই আশ্বিন বন্ধ হবে। তারপরে কলকাতায় যাব। ছুটিতে কোথায় থাকব এখনো ঠিক করতে পারি নি। সম্ভবত শিলাইদহে যাব। এখানকার খবর ভাল। ছেলেরা ছুটির পূর্বে একটা কিছু \Ob-8