পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পষ্টত প্রবন্ধ হইতে সংকলিত' বলে কোনো কোনো রচনার উল্লেখ আছে, সে প্রবন্ধের আকর পত্রিকার উল্লেখ নেই। পৌর ১৩১৭ সংখ্যা থেকে 'সংকলন ও সমালোচনা’ এই বিভাগ নাম বর্জিত হয়, কিন্তু সংকলনের রচনাসমূহ যথারীতিই প্রকাশিত হতে থাকে । পত্র ২৬ । এখানে একটা লেখাতে হাত দিয়েছি.. জিনিষটি একটি ছোট নাটক..? ॥ ২ কার্তিক ১৩১৭য় সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে লেখা চিঠি : আজ থেকে নাটক লেখায় হাত দিয়েছি- কিন্তু এখানে সমস্ত দিন অামার ছাতের উপরকার খোলা ঘরটাতে বসে কেবলি সমুখের দিগন্তশয়ান পদ্মা ও অন্য তিন দিকের শশুপরিপূর্ণ সবুজ মাঠের দিকে তাকিয়েই সময় কেটে যায় কোনো কাজ করতেই ইচ্ছা যায় না। ’ ইন্দুলেখা দেবীকে লেখা চিঠি ১২ কাতিক ১৩১৭ : শিলাইদহে এসে ভাল বোধ হচ্চে। বাড়ির ছাতের উপর একটি ছোট ঘর আছে সেইখানে আমি থাকি। চারিদিকের দরজা খুলে দিলে সম্মুখে পদ্মা নদী— ও অন্য দিকে মাঠ দেখতে পাওয়া যায়। শাস্তিনিকেতনের অধ্যাপকের অামাকে একটা নূতন নাটক লেখবার জন্যে ধরেছেন– তাই একটু একটু করে লিখি– লিখতে ইচ্ছা করে মা— অধিকাংশ সময় চুপ করে বসেই কাটে।" নাটকটি ‘রাজা’ নাটক । "টুকরো করে কাগজে দিলে কারো ভালো লাগবে না । সম্ভবত সাহিত্য পত্রিকার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লেখা। প্রবাসীতে ধারাবাহিক ‘গোর’ এবং অপর একখানি নাটকের সূত্রে সাহিত্য লিখেছিলেন, ক্রমশ প্রকাশে নাটক একেবারে খুন হইয়া থাকে ; উপন্যাসও জখম হইয়া যায়।’ ‘মাসিক সাহিত্য সমালোচনা’, সাহিত্য, বৈশাখ ১৩১৫ । ১ রবীন্দ্রভাবনা, সন্তোষচন্দ্র মজুমদার সংখ্যা পৃ ১২। শনিবারের চিঠি, অগ্রহায়ণ ১৩৪৮ পৃ ১৬৮। \○切rぐ6