পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সভায় ডা: নীলরতন সরকারের কন্যা নলিনী ও রামানন্দের জ্যেষ্ঠা কন্যা রাত্রেই পরামর্শ করিয়া ঠিক করিলেন শাস্তিনিকেতনে যাইতেই হুইবে ।... কিন্তু ছোট ছোট মেয়েদের একলা ত যাইতে দেওয়া হইবে না। রামানন্দ ছিলেন এই সব অর্বাচীনদের বন্ধু। তাহার। গিয়া তাহাকে ধরিয়া পড়িল ।... সুতরাং ছয়-সাতটি বালিকার অভিভাবক হইয়া তিনি আশ্রমে চলিলেন। শাস্তা দেবী অভিনয়েরও বর্ণনা দিয়েছেন : সেবার প্রথম ‘রাজা’ অভিনয় হয় । মাটির ‘নাট্যঘরে’ খড়ের চালের তলায় নবীন কিশলয়ে ও সদ্য তোলা পুষ্পদলে সজ্জিত রঙ্গমঞ্চে গান ও অভিনয় যেন অতিস-বাজির ফুলের মত ঝলমল করিয়া ঝরিয়া পড়িতে লাগিল । সেবার (এখন জষ্টিস) সুধীরঞ্জন দাস হইয়াছিলেন ‘সুদৰ্শন এবং জ্ঞানেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ‘কাঞ্চীরাজ) । অভিনয়ের আগে-পরেও রবীন্দ্রনাথের আনন্দ বিতরণের কি সমারোহ ! অতিথিশালার উপরের ঘরে বসিয়া একসঙ্গে পঞ্চাশটা পর্যন্ত গান তিনি গাহিয়া গেলেন। অতিথিদের সঙ্গে করিয়া সমস্ত আশ্রম নিজে দেখাইলেন । র্তার আতিথ্য, তার সৌজন্য, তার বাৎসল্য, তার কর্মমাধুর্য, তার সৌন্দর্য, তার দৈহিক ক্ষমতা, তার প্রসন্নতা কিছুরই যেন সীমা ছিল না। ‘রামানন্দ ও অর্ধশতাব্দীর বাংলা পৃ ১৬• । স্বধীরঞ্জন দাস ‘রাজা’র অভিনয়ে অংশ নিয়েছিলেলেন, তার লেখাতেও এই অনুষ্ঠানের কথা আছে । তিনি লিখেছেন, ‘মনে পড়ে আমরা যখন ম্যাট্রিক ক্লাসে উঠলাম তখন “রাজা” অভিনীত হয়েছিল। সে অভিনয়ে খুব লোকসমাগম হয়েছিল । কলকাতা থেকে আশ্রমবন্ধু বহু অতিথি এসেছিলেন। আমাদের অভিনয় শেখাতে গুরুদেব খুব বেশি পরিশ্রম করেছিলেন...’ । ‘জগদীশ...’ । জগদীশচন্দ্র বসু । ○○〉