‘সাময়িকপত্রাদি...’ । ১৮ জ্যৈষ্ঠের চিঠিতেই রামানন্দকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘সাময়িক পত্র যাহা পান তাহার ব্যবহার শেষ হইয়। গেলে আমাকে পাঠাইয়া দিতে অনুরোধ করিবার জন্য আজই আপনাকে চিঠি লিখিতে যাইতেছিলাম এমন সময়ে আপনার পত্রে তাহার উল্লেখ পাইলাম। ১ প্রবাসীর জন্য ‘সংকলন’ লেখবার সুত্রে ‘ব্যবহৃত’ বা অব্যবহৃত সাময়িকপত্রাদি রামানন্দ বরাবরই পাঠিয়েছেন। রামানন্দের পাঠানো এই-সব পত্রিক রথীন্দ্রনাথ সংগ্রহ ও রক্ষা করেছিলেন, দ্র, নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে লেখা রথীন্দ্রনাথের চিঠি ॥২ পত্র ৪০ । ‘আমার ব্যাকরণ...” । বৈশাখের কোনো সময় রবীন্দ্রনাথ প্রবাসী-সম্পাদককে লিখেছিলেন, ‘ব্যাকরণের প্রথমাংশ পুনরায় সংশোধন করিয়া লিখিতে হইবে— এইজন্য এবার দেওয়া সম্ভব হইবে না – জ্যৈষ্ঠে যাইবে ।’ জ্যৈষ্ঠে চারুচন্দ্রকে লেখেন, ‘ব্যাকরণের একট। কিস্তি এবার পঠাই...” । সম্ভবত এতদিনে সে লেখা পাঠানো হয়ে উঠল। ‘তিৰ্য্যক রূপের মধ্যে যেরূপ আছে...’ ॥ প্রবাসী, আষাঢ় সংখ্যায় প্রকাশিত বাংলা ব্যাকরণে তিৰ্য্যক রূপ’ প্রবন্ধ। ব্যাকরণটা কি তোমরা ধারাবাহিক প্রকাশ করতে...’ । ইতোপূর্বে সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, ভারতী, বঙ্গদর্শনের প্রথম পর্বের ব্যাকরণলেখা নিয়ে ‘গদ্যগ্রন্থাবলী’র পঞ্চদশ ভাগ রূপে ‘শব্দতত্ত্ব’ ( ১৩১৫ ) প্রকাশিত হয়েছিল। এই সূত্রে ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী’ দ্বাদশ খণ্ডের গ্রন্থপরিচয় স্থলে বলা হয়েছে : ‘১৩•৮ সালে বাংলা ব্যাকরণ সম্পকিত যে “আন্দোলনে”র সূত্রপাত হয় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও রবীন্দ্রনাথ তাহার অগ্রণীস্বরূপ।” প্রবাসীর এই পর্যায়েও রবীন্দ্রনাথ যে বাংলা ব্যাকরণ ১ চিঠিপত্র ১২ পু ৯ ২ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ; জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধার্ঘ্য ১৯৮৮ পৃ ২৫ 8 s 2.
পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২০
অবয়ব