পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেব বর্মন সহ রবীন্দ্রনাথ বোম্বাইয়ের পথে কলকাতা ছেড়ে ২৭ মে ১৯১২ S. S. City of Glasgow জাহাজে বোম্বাই থেকে মার্সেলসের পথে যাত্র করেন । ২৯ মে ও ৩• মে আরব সমুদ্র পাড়ি দেবার পথে লেখেন 'জলস্থল’ ও ‘সমুদ্রপাড়ি’ দুটি নিবন্ধ। ৩১ মে ১৯১২ আরব সমুদ্রের পথেই কন্যা মীরা দেবীকে লেখেন : জাহাজ তো ভেসে চলেছে । ভয় করেছিলুম খুব ৪easickness হবে কিন্তু তার লক্ষণ দেখচি নে । সমুদ্র তেমন উতলা নয়। অথচ ঢেউ একেবারেই নেই তা নয়। ঠিক আমাদের মুখের সামনে দিয়ে পশ্চিমে হাওয়া দিচ্চে তাই এক একদিন বেশ একটু দোল লাগাচ্চে কিন্তু আজ পর্য্যস্ত অামার তাতে কোনো অসুবিধা হয় নি । সোমেন্দ্রটা মাঝে মাঝে মাথা ঘুরচে বলে ক্যাবিনে চিৎ হয়ে পড়ে চব্বিশ ঘণ্টা একটানা ঘুমিয়ে নিচ্চে . বোমা বেশ কাটিয়ে দিচ্চেন । ওঁর ভাবটি বেশ নিঃসঙ্কোচ । নতুন জায়গায় নতুন পথে নতুন লোকদের মধ্য দিয়ে যাচ্চেন বলে যে কোথাও কিছুমাত্র সঙ্কোচ আছে তা দেখচি নে । ইতিমধ্যে একদিন কেবল Feasick হয়েছিলেন । · · · চারুচন্দ্রের চিঠির সঙ্গে একই দিনে ভগকে দেওয়া চিঠিতে ( 15 Juin 1912 St. Denis, Paris 26 ) ğCIEI CACH মাধুরীলতাকে লিখছেন : বেল, কাল মার্সেল গিয়ে পৌছব । সমুদ্রযাত্রাট নির্বিঘ্নে কেটে গেছে । কাল একটু ঝোড়ো ছিল— বোমার একটু মাথা ঘুরেছিল আমার ত কোনো কষ্ট বোধ হয় নি । চারুচন্দ্রকে ‘সমুদ্রে ঝড়ে’র উল্লেখ করেছেন । ‘লগুমে’ শীর্ষক রচনায় পাওয়া যায় ‘প্রবল বেগে বাতাস’ ও ‘তাহাতে সমুদ্রের আন্দোলনের ফলে যেদিন পৌছিবার কথা ছিল তাহার দুই দিন পরে পৌছয়ছি” এবং তারপর ‘মার্সেলস হইতে একদেীড়ে প্যারিসে আসিয়া একদিনের 8 R & Տ 8 ՀԵ