পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবিবাবুর কবিতার প্রাণহীন ভাবহীন অনুকরণের জ্বালায় মাসিক পত্রের সম্পাদক ও পাঠক উভয়েই জ্বালাতন। তারা রবিবাবুর দোষগুলি হুবহু নকল করিতেছেন। সে দোষও অতি অধৰ্মজনক, গহিত দোষ। রবীন্দ্রবাবুর প্রেমের গানগুলি’ এবং চিত্রাঙ্গদা’ কাব্যথানি অবলম্বন করে দ্বিজেন্দ্রলাল দেখান লম্পটের বা অভিসারিকার সে-সব গান এবং কাবাখানিতে ‘রবীন্দ্রনাথ পাপকে যেমন উজ্জল বর্ণে চিত্রিত করিয়াছেন তেমনি বঙ্গদেশে আর কোনও কবি অদ্যাবধি পারেন নাই। দুই কবির পক্ষাবলম্বীদের বাদবিতণ্ডার পাশাপাশি সাময়িক পত্রিকায় ব্যক্তিবিরোধ ও সাহিত্য বিতর্ক দুইই প্রবলভাবে আলোড়িত হয়ে উঠেছিল। এই বিসংবাদের চূড়ান্ত আনন্দ বিদায়’ নাট্য ও তার অভিনয়। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নাটকের প্রকাশ তারিখ ১৬ নভেম্বর ১৯১২ বলে উল্লেখ করেছেন, দেবকুমার রায়চৌধুরী লিখেছেন অভিনয়ের দিন (১৬ ডিসেম্বর ১৯১২) গিয়ে তিনি দেখেন, "বইটা তখনও প্রেস হইতে ছাপিয়া আসে নাই’ (‘দ্বিজেন্দ্রলাল’ পৃ ৪৪৪)। দ্বিজেন্দ্রলাল প্রমথ চৌধুরীকে পত্রে লিখেছেন। ‘ “আনন্দবিদায়ের’র চাবুক আট বৎসর আগেকার। অধুনা সেটা অভিনীত হয়েছে এই মাত্র। তা হলে এ নাটক ‘বঙ্গভাষার লেখকে’রই সময়কার। বইয়ের ভূমিকায় দ্বিজেন্দ্রলাল লিখেছেন, যদি কোনও কবি কোনওরূপ কাব্যকে সাহিত্যের পক্ষে অমঙ্গলকর বিবেচনা করেন, তাহা হইলে সেরাপ কাব্যকে সাহিত্য ক্ষেত্র হইতে চাবকাইয়া দেওয়া তাহার প্রভাব হইতে বঙ্গসাহিত্যকে রক্ষা করিবার জন্য লেখনী ধারণ করিয়াছিলেন তাহার জন্য তিনি বাণীভক্ত মাত্রেরই আন্তরিক ধন্যবাদাহ।’ আরো লিখেছেন, তিনি “এ বিবাদ ব্যক্তিগতভাবে দেখেন নাই। কবিদ্বয়ের স্তাবকগণই এ বিবাদকে প্রধূমিত করিয়াছিলেন। ১ সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা ৬৯. আষাঢ় ১৩৬৬ পৃ ২৮। ২ নবকৃষ্ণ ঘোষ : 'দ্বিজেন্দ্রলাল ১৩২৩ পৃ ২৯১-২৯২। 8 と ○