পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখামকার লোকসমাজের টানাটানিতে আমার মমের ভিত্তরটাতে মত্যস্ত। ক্লাড়ি এসেছে। আমাদের দেশের জনশূন্য নিভৃত কোণটির মধ্যে কিছুদিন চুপচাপ করে বসে থাকতে পারি তা হলে হাড়গুলো জিরয়। কিন্তু আবার ভাবি সেখানে গিয়ে মান ঝঞ্জাটের মধ্যে গিয়ে পড়তে হবে— তা ছাড়া এবার ফিরে গেলে সেখানে মানুষের ধাক্কা পূৰ্ব্বের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যাবে— তার থেকে নিজেকে বাচানো আমার পক্ষে ভারি শক্ত হবে— এর উপরে আবার আমার সমালোচক বন্ধুদের দল আছে— তাদের কণ্ঠস্বর নিশ্চয়ই পূৰ্ব্বের চেয়ে আরো অনেক উচ্চতর সপ্তকে চড়বে। মানুষকে উদভ্ৰাম্ভ করে তোলবার উপকরণ সেখানে যে কিছু কম আছে তা বলতে পারি নে। তা হোক তবু সমস্ত স্বীকার করে নিতে হবে— নিজের বাসা ছেড়ে কোথায় বা ঘুরে বেড়াব। .. গাণ্ডীব ॥ দ্র, মহাভারত, মৌষল পর্ব ৭-৮ অধ্যায়। তুলনীয় : অৰ্জুন যখন র্তাহার গাওঁীব তুলিতে পারেন নাই তখনই তিনি দস্যুর হস্তে পরাজিত হইয়াছিলেন। “স্বদেশী সমাজ” গ্রন্থের পরিশিষ্ট। আশ্বিন ১৩১১। গাওঁীব তুলতে না পারার দৃষ্টাস্ত রবীন্দ্রনাথ আরো কখনও কখনও ব্যবহার করেছেন যেমন, প্রমথ চৌধুরী ও ইন্দিরা দেবীকে লেখা চিঠির তিনটি অংশ উদ্ধৃত করি : আমারও সাহিত্যলীলা শেষ হয়ে এসেছে— এখন গাওঁীব তোলবার শক্তি নেই। ৮ অক্টোবর ১৯১৪ প্রমথ, অৰ্জ্জুনের একটা সময় এসেছিল যখন সে নিজের গাওঁীব নিজে আর তুলতে পারে নি। আমার কি গাওঁীবের কারবার ছেড়ে দেবার দিন আসবে না, মনে করচ ? ১৩ এপ্রিল ১৯১৭ শেষ দশায় অৰ্জ্জুন গাওঁীব তুলতে পারেন নি আমার সেই অবস্থা। আমার ১ আত্মশক্তি। রবীন্দ্র-রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড ১৩৭১ সং পু ৫৫২। ২ চিঠিপত্র ৫ পৃ ১৮৯, ২১৬, ১২৬। 8 じ(?