পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাওঁীবের ছিলা কাটা। সমস্ত ব্যাপারটা তিনি বুঝলেন, কিন্তু তখন আর কিছু করবার সময় নেই। যে কারণেই হোক এ নাটকটা লেখা হয় নি। । এখান থেকে রওনা হতে..."। ফেরা ; রবীন্দ্রনাথ ৪ সেপ্টেম্বর ১৯১৩য় লিভারপুল থেকে জাহাজে উঠে ৪ অক্টোবর বোম্বাইয়ে, ৬ অক্টোবর ১৯১৩য় কলকাতায় ফেরেন। পত্র ৫৬। আমার সম্মানলাভে যাহারা আনন্দ প্রকাশ করিতেছে... ইত্যাদি | তাপর হস্তে লিখিত সাইক্লো করা পত্র। ১৪ই নভেম্বর ১৯১৩ কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ংবাদ এসে পৌছয়। সীতা দেবী লিখছেন , ১৪ই নভেম্বর কলেজ হইতে ফিরিবামাত্র শুনলাম যে রবীন্দ্রনাথ Nobel Prize পাইয়াছেন। কলিকাতা শহরে মহা হৈ চৈ বাধিয়া গেল। শুনিলাম কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম টেলিগ্রাম লিখিতে জানিতেন না, অন্য কাহাকে দিয়া লিখাইতে গিয়া দেরি হইয়া গেল, তাহার আগেই আর একজন টেলিগ্রাম পাঠাইয়া দিলেন।’ : ১ প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবিশ : প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ১৩৯২ পৃ ১৫৮-১৫৯। ২ পুণ্যস্মৃতি । ১৩৪৯ পৃ ১১৯-১২০ ৷ I নোবেল প্রাইজের সংবাদ পাওয়ার পর চারুচন্দ্রের প্রতিক্রিয়া পুলিনবিহারী সেন তার প্রবন্ধে চারুচন্দ্রের সত্যেন্দ্র পরিচয় (প্রবাসী, শ্রাবণ ১৩২৯ পু ৫৮৩-৫৯৫) রচনা থেকে উদ্ধৃত করে দিয়েছেন। ‘রবিরশ্মি বইয়ে গীতাঞ্জলি আলোচনার সূত্রে চারুচন্দ্র প্রসঙ্গটি পুনরায় উল্লেখ করেছিলেন : এই গীতাঞ্জলি’ পুস্তকের দ্বারা সমগ্র ইউরোপে কবির কবিত্বখ্যাতি বিস্তুত হইয়া পড়ে। ১৩২০ সালের ২৭এ কার্তিক ১৯১৩ সালের ১৩ই নভেম্বর এ দেশে সংবাদ আসে যে কবি নোবেল পুরস্কার পাইয়াছেন। সত্যেন্দ্র দত্ত এই সংবাদ পাইয়া একখানি এম্পায়ার কাগজ কিনিয়া লইয়া আমার কাছে আসেন, এবং সত্যেন্দ্র, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় ও আমি তিনজনে মিলিয়া কবিকে সংবর্ধনা করিয়া আমাদের সানন্দ প্রণাম জানাইয়া টেলিগ্রাম করি: কবির নিকটে তাহার জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিগ্রাম প্রথম পৌছিয়া এ সংবাদ দেয়, তাহার পরে আমাদের টেলিগ্রাম পৌছে। ইহাতে সত্যেন্দ্র অত্যস্ত ক্ষুন্ন হইয়াছিলেন– তিনি বলিয়াছিলেন, আমি টেলিগ্রাম করিতে জানিলে আমার টেলিগ্রাম সর্বাগ্রে পৌছিত। 8 ど)°