পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩শে নভেম্বর কলকাতা থেকে পাঁচ শো গুণগ্রাহীর একটা দল স্পেশাল ট্রেমে বোলপুরে রবীন্দ্রনাথকে অভিনন্দিত করতে চললেন। এই দলে সর্বধর্মের এবং সর্বসমাজস্তরের ব্যক্তিরা ছিলেন। শান্তিনিকেতন আশ্রমের সভাস্থলে জাস্টিস আশুতোষ চৌধুরীর প্রস্তাবে ও ভূপেন্দ্রনাথ বসুর সমর্থনে জগদীশচন্দ্র বসু সভাপতির আসন গ্রহণ করেন, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন, জগদীশচন্দ্র ও পূরণচাদ নাহার তাকে মালা পরান এবং অভিনন্দনাদি প্রদান করিবার পর কবি শ্ৰীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবীন্দ্রের অসীম শক্তি ও গুণরাশি বর্ণনা করিয়া একটি কবিতা পাঠ করেন। অপিচ রবীন্দ্রনাথের সম্মানলাভে যাহারা আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন তাদের এই বর্ণাঢ্য অভিনন্দনের উত্তরে রবীন্দ্রনাথের কষায় প্রতিভাসণে সেই অভ্যাগতের বিস্মিত দুঃখিত ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে এলেন। এই নোবেল প্রাইজ পাওয়া উপলক্ষ্যে বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি ও রবীন্দ্রসাহিত্যের ভক্ত স্পেশাল ট্রেনে শান্তিনিকেতনে যাইয়া ৭ই আগ্রহায়ণ ২৩এ নভেম্বর ১৯১৩ সালে কবিকে সংবর্ধনা করেন। তিনজনে য়ে টেলিগ্রামখানি রবীন্দ্রনাথকে পাঠিয়েছিলেন তার প্রতিলিপি নিম্নরূপ : dofoss; Date 14 Hour 16=10 Received at 16=43 16 Words Rabindranath Tagore Santiniketan. Bolpur. Nobel Prize conferred on you our congratulations Manilal Satyendra Charu প্রসঙ্গত, অভিনন্দন সভায় সত্যেন্দ্রনাথের পঠিত কবিতাটি প্রবাসীতে প্রকাশিত হয় ; আভু্যদয়িক। প্রবাসী, পৌষ ১৩২০ পৃ ২৩০-২৩৭। ৭ই আগ্রহায়ণ তারিখে বোলপুরে “রবীন্দ্র-সঙ্গমে’ পঠিত বলে উল্লেখ আছে। ১ পুলিনবিহার সেন : ‘কবি-সংবর্ধনা ১৩১৮-১৩২৮। দেশ, রবীন্দ্রশতবার্ষিকী সংখ্যা ১৩৬৮ পৃ ৩৩-৭০ প্রবন্ধের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে সংবর্ধনা অধ্যায় দ্রষ্টব্য। পুলিনবিহারীর প্রবন্ধে প্রতিলিপি-সহ অভিনন্দন পত্রখানি এবং তার উত্তরে রবীন্দ্রনাথের বহুআলোচিত প্রতিভাষণটি মুদ্রিত হয়েছে ।