পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজ করিতে পারিত না। সকল বিষয়ে তাহার আদেশ গ্রহণ করিয়া সকলকে কাজ করিতে হইত। যখন রবীন্দ্রনাথের উপর বিষয়সম্পত্তি পরিদর্শন করিবার ভার অপিত হয়, তখন একদিন রবীন্দ্রনাথ ভাবিলেন বাটীর বহিদেশে একটি জীর্ণ প্রকোষ্ঠ ছিল, তাহা সংস্কার করিয়া নিজের ঘর করিয়া লয়েন। এইজন্য তিনি তাহ রীতিমত সংস্কার করিয়া সুন্দরভাবে ঘরটি প্রস্তুত করাইয়া লইলেন এবং সুন্দররাপে সজ্জিত করিয়া রাখিলেন। তখন মহর্ষি কলিকাতায় ছিলেন না। তিনি আসিয়া দেখিলেন পুরাতন ঘর আর নাই, তাহার স্থানে এক নূতন ঘর দণ্ডায়মান। তিনি রবীন্দ্রনাথকে ডাকিলেন। বঙ্গের ভবিষ্যৎ কবিসম্রাট বলির ছাগের ন্যায় কঁাপিতে কঁাপিতে তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেন। মহর্ষি বলিলেন, “এই ঘরে আমার পিতা বসিতেন এবং তাহার ঘর তুমি কাহার আদেশে ভগ্ন করিয়া এইরূপ নূতন করিলে? আমার পিতার ঘরের উপর তোমার কোন অধিকার নাই। যে সমস্ত পুরাতন জানালা বা কপাট চৌকাট ছিল, তাহা তুমি এখনি লইয়া যথাস্থানে বসাও, এবং ঘরটি ঠিক যেমন ছিল তেমনি করিয়া দাও। তোমার একটি বসিবার ঘরের প্রয়োজন ছিল আমাকে পূর্বে বলিলে আমি তাহার বন্দোবস্ত করিতাম। তোমার এখন বেশী লোকজনের সহিত পরিচয় হইয়াছে, অনেক লোক তোমার নিকটে আসেন, সুতরাং তোমার একটি ঘরের প্রয়োজন হইয়াছে । একথা আমি বুঝিতে পারি নাই। এই ত্ৰিশহাজার টাকা লও এবং নিজের মনোমত ঘর প্রস্তুত করাইয়া লও, কিন্তু আমার পিতার ঘরটি ঠিক যেরূপ ছিল, সেইরূপই করিয়া দাও।” বলা বাহুল্য যে রবীন্দ্রনাথ তাহার আদেশানুযায়ী কাৰ্য্য করিতে বিলম্ব করিলেন না।’ অতঃপর ভবসিন্ধু পিতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের হিমালয়ত্রমণের বিবরণ হইতেন। তাহার নিকট কিছু টাকা গচ্ছিত রাখিয়া পথে দরিদ্রদিগকে দান করিতে আদেশ করিতেন। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য তাহার বিশেষ কিছু হিসাব 8brbr