পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> S রাখতে পারিতেন না। বিশেষতঃ ভ্রমণের সময়ে সামান্য দানের হিসাব কে বা রাখতে পারে। কিন্তু মহর্ষি সে প্রকৃতির লোক ছিলেন না বাড়ী ফিরিয়া আনন্দ হইত পাঠক তাহা বুঝিতে পারিতেছেন । দেবেন্দ্রনাথ যে পয়সার মমতা করিয়া তাহার নিকট এইরূপ হিসাব লইতেন তাহা নয়, কিন্তু অল্পবয়স হইতে যাহাতে তাহার পুত্ৰ শৃঙ্খলা ও নিয়মের বাধ্য হইয়া কাজ প্রবাসী, ফাল্গুন ১৩২১ সংখ্যায় অমৃতলাল গুপ্ত ভবসিন্ধু দত্তের বইখানির সপ্রশংস আলোচনা করে লিখেছিলেন, ‘গ্রন্থকার বর্তমান যুগের এই ঋষির জীবনচরিত প্রকাশিত করিয়া নিজেও ধন্য হইয়াছেন এবং সামাদিগকেও কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ করিয়াছেন । ... সকল সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যেই এই পুস্তকের সমাদর হওয়া উচিত। দ্র পুস্তক পরিচয় পৃ ৫৯২-৫৯৩ । আলোচনাটির শেষে এই সম্পাদকীয় মন্তব্য ছাপা হয় ; ভবসিন্ধুবাবু মহর্ষিদেবের যে জীবনী লিখিয়াছেন, তার মধ্যে একটি গল্প আছে যে কবিবর শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোনো ঘর ভাঙচুর করাতে মহর্ষিদেব প্রথমে রবিবাবুকে ভৎসনা করেন এবং পরে তাহার কৃতকর্ম পুনরায় পূর্ববৎ করিয়া দিয়া তাহাকে বাস করিবার জন্য একটি নূতন বাড়ি দেন। আমরা জানিতে পারিয়াছি যে রবিবাবুর নুতন বাড়ীর ভিত্তি এই ঘটনার ভিত্তির উপর স্থাপিত নয়। তাহার প্রধান কারণ রবিবাবু দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোনো কিছুই ভাঙেন নাই ; যা-কিছু ক্ষণভঙ্গুর তা তিনি নিজেই একরকম ভাঙিয়া শেষ করিয়া গিয়াছিলেন, উত্তরবংশীয়ের জন্য অপেক্ষা করেন নাই। অতএব গল্পটির মধ্যে এইটুকুই সত্য যে মহর্ষিদেব রবিবাবুকে বাসের জন্য একটা নূতন বাড়ী দিয়াছিলেন। প্রবাসী, ফাল্গুন ১৩২১ পু ৫৯৩। Jā প্রসঙ্গত ভবসিন্ধু দত্তের বইখানি অজিতকুমার চক্রবর্তী প্রণীত 'মহর্ষি S or S. S. &