পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থাকে, কিছুতেই প্রসন্ন হইতে চায় না, তাহার পক্ষে শুভ নহে; সে মায়ের কাছ হইতে মার খায়; সেই রুদ্ধ গুহ ... Lየ মৃত্যুকে আমরা যেমন ভয় করি বিস্মৃতিকেও আমরা তেমনি ভয় করি। কিন্তু অনেক সময় সে ভয় অকারণ। বিস্মৃতি আমাদের জীবনগ্রন্থের ছেদ দাড়ি; মাঝে মাঝে আসিয়া উত্তরোত্তর আমাদের জীবনবিকাশের সহায়তা করে। একটি গ্রন্থের মধ্যে সহস্র দাড়ি আছে, তবে তো তাহাতে ভাব বক্ত ও পরিস্ফুট হইয়াছে। একটি জীবনের মধ্যেও শতসহস্র বিস্মৃতি চাই, তবেই জীবন সম্পূর্ণ হইতে পারে। অতএব ব্যাকরণবিরুদ্ধ একটিমাত্র দীর্ঘস্মৃতি লইয়া জীবন শেষ করিলে জীবন শেষই হবে না।’ দ্র, রবীন্দ্র-রচনাবলী ৫। ফাল্গুন ১৩৭৩ সং পৃ ৫৬০-৫৬৪ সম্ভবত চারুচন্দ্রকে লেখা এই চিঠির দৃষ্টাস্তে সঞ্চয়িতা’র গ্রন্থপরিচয়ে শা-জাহান’ কবিতার সূত্রে রবীন্দ্রনাথের এই ‘প্রত্যুত্তরের অংশ উদ্ধৃত করে দেওয়া হয়েছে। দ্র, সঞ্চয়িতা ১৩৭৯ সং পৃ ৮৬১-৮৬২ পত্র ১১১। চারুচন্দ্রের দ্বিতীয় পুত্র কনক বন্দ্যোপাধ্যায় ও লীলার শুভ পরিণয় ৩ মে ১৯৩৬ ২০ বৈশাখ ১৩৪৩ ৷ পত্র ১১২ ॥চারু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা পুষ্পমালা - অমরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিবাহের আশীর্বাদপত্রী। বিবাহ ১৫ আষাঢ় ১৩৪৩ ২৯ জুন ১৯৩৬। পত্র ১১৩। কনক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা বিষয়ে কলকাতা ও ঢাকা উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ. সম্ভবত চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে শাক্তিনিকেতনে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের এই চিঠি পেয়ে চারুচন্দ্র ঢাকা থেকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬ তারিখে বিশ্বভারতীর আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, দ্র, এই বই পৃ ১৮০-১৮১। এই চিঠিতে চারুচন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসন্ন অবসরের পর ১ মৃত্যুশোক পর্যায়ের পত্রমালায় এই চিঠিখনি প্রথম পত্ররূপে মূদ্রিত। বিশ্বভারতী পত্রিকা বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৬০ পূ ১৭৭-১৭৯ ২ উত্তর-প্রত্নাত্তরে'র স্ত্র অঃ স্বাক্ষরকারী কবিবন্ধু শ্ৰীঅক্ষয়কুমার বড়াল এইরূপ অনুমিত হয়েছে। &8२