পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূরিপরিমাণ যে সকল লেখাকে আমি ত্যাজ্য বলে গণ্য করি আপনাদের সম্মিলিত নিবন্ধে সেগুলিকেও স্বীকার করে নিতে হবে। আমার লজ্জা চিরন্তন হয়ে যাবে এবং তাতে আমার নাম স্বাক্ষর থাকবে। অর্থাৎ ভাবী কালের সামনে যখন দাঁড়াব তখন গাধার টুপিটা খুলতে পারব না। তব রবীন্দ্রনাথের সকল সংগ্রহই ‘সন্ধ্যাসঙ্গীতে’র লেখা নিয়ে শুরু । হয়েছে। রচনাবলী সংস্করণের জন্য বিশেষ করে লেখা ভূমিকাতে তিনি লিখেছেন, ‘সন্ধ্যাসঙ্গীতেই আমার কাব্যের প্রথম পরিচয়। সে উৎকৃষ্ট নয়, কিন্তু আমারই বটে।’ প্রসঙ্গত চারুচন্দ্র যে ‘রবিরশ্মি বইয়ের গোড়াতে দীর্ঘ স্থান জড়ে সন্ধ্যাসঙ্গীত’-পূর্ব আদি অচলিত উন্মেষ-পর্বের রচনার সবিস্তার বিশ্লেষণে ব্যয় করেছেন, রবীন্দ্রনাথের অসন্তোষের সেও বোধ করি এক কারণ। ‘কবিকাহিনী পড়ে কালীপ্রসন্ন ঘোষ..."। দ্র, বান্ধব, দশম সংখ্যা ১২৮৫ পৃ ৪৬৪৪৬৭। জীবনস্মৃতি'র গ্রন্থপরিচয়স্থলে উদ্ধৃত, ১৩৬৩ সং পৃ ২০২-২০৩। ভগ্নহৃদয় পড়ে ত্রিপুরার বীরচন্দ্র মাণিক্য... ইত্যাদি। ভগ্নহৃদয়’ কাব্য পাঠ _ করে ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য নবীন কবিকে যে অভিনন্দন পাঠিয়েছিলেন তার বিবরণ অধুনালুপ্ত রবি ত্রৈমাসিকপত্রের রবীন্দ্রসম্মিলন সংখ্যা, চৈত্র ১৩৩২ পৃ ৩৩৭-৩৩৮, পৃ ৩৪৩-৩৪৫ থেকে জীবনস্মৃতি'র গ্রন্থপরিচয় স্থলে উদ্ধৃত করে দেওয়া হয়েছে। পত্র ১১৮। এই চিঠি ‘রবিরশ্মি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের আগের চিঠির অনুবৃত্তি, এ চিঠিরও নকল তিনি রামানন্দকে পাঠিয়েছিলেন, দ্র, পূর্বাল্লিখিত রামানন্দকে লেখা ১৬ মে ১৯৩৮এর পত্র : , আমার কৈফিয়তে চারুকে যে চিঠি লিখেছি তার নকল পাঠাই। তার বইটা ক্লাস বইয়েরই মতো হয়েছে, ছাত্রাবস্থা ছাড়িয়াছে যারা এটা তাদের উপযোগী নয় অথচ সেই রকম বইয়ের দরকার আছে। অতিশয় বেশি দিতে গেলে (? 83