পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনো একটি গল্পের প্লট উল্লেখযোগ্য। শরৎকুমারীর গল্পটির সূত্রে তার রচনাবলী’র সম্পাদকীয় বক্তব্য স্থলে লেখা হয় : রবীন্দ্রনাথ যৌতুক গল্পের প্লটটি শরৎকুমারীকে দেন এবং উহা লইয়া তাহাকে একটি গল্প রচনা করিতে অনুরোধ করেন। এই অনুরোধ-মত পাঁচ

т ১ বনফুল উল্লেখ করেছেন, শাস্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ তাকে একবার বলেছিলেন, ‘তোমাকে একটা গল্পের প্লট দেবো। তুমিই ঠিক পারবে। ভেবে দেখলুম আমার পক্ষে ও গল্প লেখা অশোভন হবে। পত্ৰযোগে রবীন্দ্রনাথ বনফুলকে গল্পের প্লটটি পাঠান। পত্রটি এই : ডাঃ বলাইচাদ মুখোপাধ্যায় 聶 ভাগলপুর শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু সময়টা সেকালের প্রাস্তঘেঁষা। মাঠকরুন বড়োঘরের ঘরণী— স্বামী সহকারে চলেছেন তীর্থ পরিক্রমে। শেমিজ জুতোয় লজ্জা, অশ্বযানে সংকোচ, বাল্যাবধি পালকিবাহিনী, আধুনিকপস্থায় স্বামীর তত আপত্তি ছিল না, কিন্তু যে সনাতনী আচার শ্বশুরকুলের বংশানুগত আভিজাত্য আঁকড়ে ছিল তার কোন বাতায় গৃহিণী সইতে পারতেন না, যদিও পুরুষমানুষের অনাচারে ধৈর্য রক্ষা করতে অগত্যা অভ্যস্ত হয়েছিলেন। তার ছেলেটি আধুনিক লোরেটোতে শিক্ষিত মেয়েকে বাছাই ক’রে বাপমায়ের অগোচরেই বিয়ে করেছিল, মেয়েটির বয়স গৌরীর কাছাকাছি যায়নি বলে দুঃসহ ক্ষোভ পরিবারে একদা আলোড়িত হয়েছিল। অল্পদিনে প্রমাণ হোলো এমন সতীলক্ষ্মী মেয়ে হয় না— এমন কি যে সকল আচারে ও পূজাৰ্চনায় তার অভ্যাস ও বিশ্বাস ছিল না তারও খুঁটিনাটি সে মেনে চলত। স্বামী তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উত্তেজনায় বৃথা চেষ্টা করেছে। একটা কথা মেয়েটি বুঝতে পারত না কেন স্বামীসহবাস থেকে সে বঞ্চিত। সে সমস্যার ইতিহাস এই স্বামীর স্বভাবচরিত্র ভালো কিন্তু একবার পদস্থলন হয়ে সংক্রামক রোগে আক্রাস্ত হয়েছিল। ডাক্তার আশ্বাস দিয়েছে, ভয় নেই, কিছুকাল চিকিৎসায় আরোগ্যলাভ হবে। সেই আশ্বাসে শ্বশুরের একান্ত ব্যস্ততায় ও সুন্দরীর লোভে সে বিয়ে করলে কিন্তু সংক্রামক স্বল্প বিপত্তি থেকে স্ত্রীকে বাচিয়ে চললে। রোগ উপশমের বাহ্যলক্ষণ যতই আশ্বাসজনক হোক তবু ভয় ছিল রোগটা পাছে সস্তান পরম্পরায় সংক্রামিত হয়। এদিকে স্ত্রীর বিশ্বাস এই সংযম স্বামীর অতিরিক্ত আধ্যাত্মিক শুচিতার লক্ষণ। তাই জোড় মিলাবার চেষ্টায় নিজের প্রবৃত্তিও দমন করে চলত। অবশেষে হঠাৎ একটা অসংযমের উদ্দীপনার মুখে স্বামীকে অপরাধ স্বীকার করতে হোল। ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া। স্ত্রীর গৃহত্যাগ— অথচ অস্তরের মধ্যে নিরস্তুর জুলুনি। একবার শাশুড়ির পায়ের ধুলো নেবার প্রলোভনে স্টেশনের নিকটবৰ্ত্ত গাছতলায় দুযোগের অপরাহুে যা ঘটল তার আভাস পেয়েছ। ছেলেটার 《设文