পাতা:চিঠিপত্র (তৃতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ১১৩ অবশ্য ওদিকে মনস্থনের প্রভাব প্রবল নয় । যাই হোক কথাটা নানাদিক থেকে ভেবে দেখবার বিষয় । এদিকে আমার মাটির ঘর ( শ্যামলী ) প্রায় সম্পূর্ণ হোলো । জন্মদিনে গুহ প্রবেশ করতে পারব এমন আশা পাওয়া যাচ্চে । কিন্তু তোমরা থাকবে না আমি নতুন বাসায় যাব এটা ভালো লাগচে না । উপায় নেই।—আজি পর্য্যন্ত গরম বেশি পড়েনি। দুপুরে শুকনো গরম হাওয়া দেয় কিন্তু রাত্রির মাঝামাঝি থেকে রীতিমতো ঠাণ্ড । এবারে হয়তো কোথাও যেতে হবে না। যদি দুঃসহ হয় তাহলে মৈত্রেয়ীর আশ্রয় নেব, সে খুব অমুনয় করচে । রাণীর। হয় তো সিমলের নীচের পাহাড় ধরমপুরে যাবে-প্রশাস্ত আমাকে যেতে বলচে–কিন্তু অতদূরে গরমের সময় রেলে করে যাবার সখ আমার নেই। খুব সম্ভব আমার শ্যামলীতেই চরম গতি । ওটাকে গোছাতে গাছাতে সময় লাগবে তে। --উদয়নে আছি—তোমার boudoirএ অামার শোবার ঘর-—তার পাশের বড় ঘরটাতে লেখার টেবিল পড়েছে সেইখানে বসে লিখচি। গাঙুলি খুব খবরদারি করচে। শরীর মোটের উপর ভালোই । ইতি ১ বৈশাখ ১৩৪২ o বাবামশায়