পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હૈં শিলাইদ প্রীতিনমস্কার নিবেদন— ফাৰ্ত্তনীর ভিতরকার কথাটা এতই সহজ যে ঘটা ক’রে তার অর্থ বোঝাতে সঙ্কোচ বোধ হয় । জগৎটার দিকে চেয়ে দেখলে দেখা যায় যে যদি চ তার উপর দিয়ে যুগ যুগ চলে যাচ্চে তবু সে জীর্ণ নয়— আকাশের আলো উজ্জল, তার নীলিমা নিৰ্ম্মল, ধরণীর মধ্যে রিক্তভা নেই, তার শুামলতা অমান– অথচ খণ্ড খণ্ড করে দেখতে গেলে দেখি ফুল বরচে, পাতা শুকচ্চে, ডাল মরচে । জরা মৃত্যুর আক্রমণ চারিদিকেই দিনরাত চলেচে, তবুও বিশ্বের চিরনবীনতা নিঃশেষ হল না। Facts-এর দিকে দেখি জরামৃত্যু Truth-এর দিকে দেখি অক্ষয় জীবনযৌবন । শীতের মধ্যে এসে যে মুহুর্ভে বনের সমস্ত ঐশ্বৰ্য্য দেউলে হল বলে মনে হল সেই মুহুর্ভেই বসন্তের অসীম সমারোহ বনে বনে ব্যাপ্ত হয়ে পড়ল । জরাকে মৃত্যুকে ধরে রাখতে গেলেই দেখি সে আপন ছদ্মবেশ ঘুচিয়ে প্রাণের জয়পতাকা উড়িয়ে দাড়ায় । পিছন দিক থেকে যেটাকে জরা বলে মনে হয় সামনের দিক থেকে সেইটেকেই দেখি যৌবন । তা যদি না হত তাহলে অনাদিকালের এই জগৎটা আজ শতজীর্ণ হয়ে পড়ত— এর উপরে যেখানে পা দিতুম সেইখানেই ধসে যেত । বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে প্রতি ফান্ডনে চিরপুরাতন এই যে } e \