পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যথাযথ পালন করিতে চান তাহাদিগকে কোনপ্রকারে বাৰা দেওয়া বা বিক্রপ করা এ বিদ্যালয়ের নিয়মবিরুদ্ধ। রন্ধনশালায় বা আহারস্থানে হিন্দু আচারবিরুদ্ধ কোন অনিয়মের দ্বারা কাহাকেও ক্লেশ দেওয়া হইবে না । আহ্নিক। ছাত্রদিগকে গায়ত্ৰীমন্ত্র মুখস্থ করাইয়া বুঝাইয়। দেওয়া হইয়া থাকে । অামি যেভাবে গায়ত্রী ব্যাখ্যা করি তাহা সংক্ষেপে নিয়ে লিখিলাম : ওঁ ভূভুবঃ স্বয়— এই অংশ গায়ত্রীর ব্যাহতি নামে খ্যাত । চারি দিক হইতে আহরণ করিয়া আনার নাম ব্যাহতি । প্রথম ধ্যানকালে ভূলোক ভুবর্লোক ও স্বর্লোক অর্থাৎ সমস্ত বিশ্বজগৎকে মনের মধ্যে আহরণ করিয়া আনিতে হইবে— তখনকার মত মনে করিতে হইবে আমি সমস্ত বিশ্বজগতের মধ্যে দাড়াইয়াছি— আমি এখন কেবলমাত্র কোন বিশেষ দেশবাসী নহি । বিশ্বজগতের মধ্যে দাড়াইয়া বিশ্বজগতের যিনি সবিতা যিনি সৃষ্টিকৰ্ত্তা তাহারই বর্ণীয় জ্ঞান ও শক্তি ধ্যান করিতে হইবে । মনে করিতে হইবে এই ধারণাতীত বিপুল বিশ্বজগৎ এই মুহূর্তে এবং প্রতি মুহূর্তেই তাহ হইতে বিকীর্ণ হইতেছে। তাহার এই যে অসীম শক্তি যাহার দ্বারা ভূভুব:স্বর্লোক অবিশ্রাম প্রকাশিত হইতেছে, আমার সহিত র্তাহার অব্যবহিত সম্পর্ক কি সূত্রে ? কোন সূত্র অবলম্বন করিয়া তাহাকে ধ্যান করিব । ধিয়ে যো নঃ প্রচোদয়াৎ— যিনি আমাদিগকে বুদ্ধিবৃত্তিসকল প্রেরণ করিতেছেন, সেই ধীস্থত্রেই তাহাকে Su'\