পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰণাম করা শাস্তিনিকেতনের দিগন্তপ্রসারিত মাঠের মধ্যে অত্যন্ত সহজ । সেখানকার নিৰ্ম্মল আলোক আকাশ এবং প্রাস্তর বিশ্বেশ্বরের দ্বারা পরিপূর্ণ এ কথা মনে করিয়া ভক্তি করা ছেলেদের পক্ষেও কঠিন নহে । এইজন্য গায়ত্রীর সঙ্গেসঙ্গে এই মন্ত্রটিও ছেলেরা শিক্ষা করে । গায়ত্রী সম্পূর্ণ হৃদয়ঙ্গম করিবার পূৰ্ব্বেও এই মন্ত্রটি তাহারা ব্যবহার করিতে পারে। ছাত্রগণ পাঠ আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে সকলে সমস্বরে ‘ওঁ পিতানোইসি উচ্চারণপূর্বক প্রণাম করে । ঈশ্বর যে আমাদের পিতা, এবং তিনিই যে আমাদিগকে পিতার স্তায় জ্ঞান শিক্ষা দিতেছেন, ছাত্রদিগকে তাহা প্রত্যহ স্মরণ করা চাই । অধ্যাপকেরা উপলক্ষ্যমাত্র কিন্তু যথার্থ যে জ্ঞানশিক্ষা তাহা আমাদের বিশ্বপিতার নিকট হইতে পাই । তাহ পাইতে হইলে চিত্তকে সৰ্ব্বপ্রকার পাপ মলিনতা হইতে মুক্ত করিতে হয়, সে জ্ঞান পাইতে হইলে ভক্তিসহকারে ঈশ্বরের কাছে প্রত্যহ প্রার্থনা করিতে হয়— সেইজন্যই ঐ মন্ত্রে আছে “বিশ্বানি দেব সবিতছুরিতানি পরামুব— যদভদ্রং তন্ন আমুব ।” হে দেব, হে পিত, আমাদের সমস্ত পাপ দূর কর, যাহা ভদ্র তাহাই আমাদিগকে প্রেরণ কর।’ ব্রহ্মচারীদের পক্ষে জীবনের প্রতিদিনকে সকলপ্রকার শারীরিক মানসিক পাপ হইতে নিৰ্ম্মল করিবার জন্ত মনুষ্যত্বলাভের জন্ত প্রস্তুত হইবার ইহাই প্রকৃষ্ট মন্ত্ৰ— যঙ্গভদ্রং তন্ন আস্থৰ । ృte3