পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি সংস্কৃতপ্রবেশ রচনা করিতে আরম্ভ করি। এই পুস্তক রচনার সময়ে, একদিন কবিবর কথাপ্রসঙ্গে আমাকে বাঙলাভাষার অভিধান রচনার কথা বলেন। ‘সংস্কৃতপ্রবেশ'-এর তিন খণ্ডের রচনা শেষ করিয়া, আমি গুরুদেবের কথানুসারে ১৩১২ সালে অভিধানের কার্য্য আরম্ভ করি। অভিধানের কার্য্য কিয়দর অগ্রসর হইলে, ১৩১৮ সালে আষাঢ় মাসে আর্থিক অসঙ্গতির জন্য আমাকে কলিকাতায় কাৰ্য্য গ্রহণ করিতে হয়। এই সময়ে সঙ্কল্পিত অভিধানের কার্য একেবারেই বন্ধ হইয়া যায়। অভীষ্ট বিষয়ের ব্যাঘাত জন্য বেদনা সুতীব্র ও মৰ্ম্মস্পশী হইলেও আমার এই দুঃখ-নিবেদনের স্থান আর কোথাও ছিল না— কেবল, অবসরক্রমে মধ্যে মধ্যে যোড়ার্সাকোর বাটীতে গিয়া গুরুদেবের নিকটে মনের বেদন জানাইয়া গুরুভার কিঞ্চিৎ লঘু করিয়া আসিতাম। সহৃদয় মহাত্মার নিকটে কোন সদ্বিষয়ের নিবেদন ব্যর্থ হয় না,— আমার দুঃখের নিবেদন সার্থক হইল— গুরুদেবের মন টলিল— তিনি কাশিমবাজারের মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীবাহাদুরের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, অভিধানের বিষয় জানাইয়া, বৃত্তির কথা বলিলেন— মহারাজও মাসিক পঞ্চাশ টাকা বৃত্তি দিবেন, স্বীকার করিলেন । এইরূপে আমার অর্থসমস্যার মীমাংসা হইলে, গুরুদেব দেখা করিবার জন্য আমাকে সংবাদ দিলেন । আমি দেখা করিতে আসিয়া র্তাহার নিকটে বৃত্তির ব্যবস্থার কথা শুনিলাম। আমি সৰ্ব্বপ্রকারেই নগণ্য, আমার জন্যই কবিবর ভিক্ষুবেশে অর্থ প্রার্থনা করিয়াছেন, এই চিন্তা করিতে করিতে আমি তাহার Հ ԹԵ