পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষতিরূপেই মনে করেছিলেন।’ ত্রিপুরার কর্নেল মহিমচন্দ্র দেববর্মীকে রবীন্দ্রনাথ ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ১৯ চৈত্র এ-বিষয়ে লিখছেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি অতি অল্পকালের মধ্যেই রথীকে প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন । দুর্ভাগ্যক্রমে বোলপুরে তাহার স্বাস্থ্য ভাল না থাকাতে তিনি চলিয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছেন । র্তাহার স্কায় স্বযোগ্য অধ্যাপক পাওয়া আমার পক্ষে কঠিন হইবে।” শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয়ের কাজ ছেড়ে দেবার পর মনোরঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় অল্পকাল কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষকের পদে কাজ করার সময় পুনরায় আইনের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন । আইন-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কুষ্টিয়ার কর্ম ত্যাগ করে চুঁচুড়ায় ফিরে হুগলির আদালতে ওকালতি ব্যবসায় শুরু করেন। এখানে বছর দুই সফলতা লাভের ব্যর্থ চেষ্টার পর ১৯০৭ খৃস্টাব্দে ওড়িশার সম্বলপুরে গিয়ে ওকালতি আরম্ভ করেন । সম্বলপুরেই তার জীবনের অবশিষ্ট কাল অতিবাহিত হয় । শাস্তিনিকেতনে কর্মস্থত্রে স্বল্পকালীন সান্নিধ্যেই মনোরঞ্জনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । তাকে রবীন্দ্রনাথ সুহৃদ রূপেই গ্রহণ করেছিলেন । ২ বৈশাখ ১৩১৮ বঙ্গাব্দে মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিতে লিখছেন, *এই বিদ্যালয়ের ভি র দিয়ে আমার জীবনের সঙ্গে তাপনার জীবনের ১. মনোরঞ্জন বন্দোপাধ্যায় শাস্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যাওয়ায় রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ দ্বিজেন্দ্রনাথও এই ঘটনাকে বিশেষ ক্ষতি বলে মনে করেছিলেন । মনোরঞ্জনকে লেথা দ্বিজেন্দ্রনাথের একটি চিঠির অংশ–“আপনি ছাড়িয়া পলাইলেন ? আপনি প্রধান goto expt foss- the right man in the right place—wtooth offroy স্থান পূরণ করে এমন একটা লোকও দেখিতেছি না ... একটা রসগ্রাহী মধুমক্ষিক কাল কাটিয়া পলায়ন করিল।...” –‘স্মৃতি’ গ্রন্থ, পৃ. ৪-৫ 象》8