পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাক্ষাতের সৌভাগ্য বুঝি আমার আর হবে না। বয়স আমার যথেষ্ট হয়েচে, দৌড়বাপ ক’রে দূর দেশে যাওয়া আসার সামর্থ্যও আমার নাই । তাই মনে মনে লুপ্ত অতীতের স্বপ্নরাজ্য স্বজন ক’রে সেকালের ভাবে, সেকালের ভাষায় আপনাকে আমার শ্রদ্ধাপূর্ণ সাদর অভিবাদন প্রেরণ করিতেছি । জানি না হয়ত বা এই আমার আপনাকে শেষ অভিবাদন। তা’ না হ’লে এতদিনের পর হঠাৎ পূৰ্ব্বস্বতি জেগেই উঠবে কেন, আর মনের মধ্যে এ অকারণ ব্যাকুলতাই বা ঘনিয়ে উঠবে কেন ? আজকাল আবার শুনি আপনি নাকি নিজে চিন্তা পড়তে পারেন না, পড়ে শোনাতে হয় । সে ও এক জঙ্কাল । তাই ভাবি ওরা আপনাকে আমার এ চিঠীখানা প'ড়ে শোনাবে কি না । না শোনালে ও আমার বিশ্বাস আমার মনের কথা তাদের পুরোনো দিনের অভ্যন্ত পথের লুপ্ত চিহ্ন ধ’রে স্বস্থানে উপনীত হবেই হবে । সেই আমার ভরসা। চললুম ইতি বিদায়প্রার্থী মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় অবসরসময়ে যথাসাধ্য সাহিত্যচর্চা করেছেন । নবপর্যায় বঙ্গদর্শন, প্রবাসী প্রভৃতি সাময়িকপত্রে তার কিছু কিছু রচনা প্রকাশিত হয়েছিল । তার রচিত রবীন্দ্র-আলেখ্য Santiniketan Reminiscence—A Vignette & Rosso পরিশিষ্ট অংশে (পৃ. ১৯৩-২• ১ ) মুদ্রিত হল । রবীন্দ্রনাথের অনুমতি নিয়ে বন্ধু ও আত্মীয়পরিজনদের মধ্যে বিতরণের উদ্দেণ্ডে তাকে লেখা রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলী ও দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দু'খানি পত্র মনোরঞ্জন 'প্ৰতি' ( প্রকাশ শ্রাবণ ১৩৪৮) নামক -গ্রন্থে সংকলন করেছিলেন ।

  • ○"